Coronavirus in India

প্রাপ্তবয়স্কদের টিকা এই বছরের মধ্যে: কেন্দ্র

একপ্রকার বাধ্য হয়েই টিকা-নীতি বদল করেছে কেন্দ্র।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ০৭:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

চলতি বছরে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসতে চায় কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে গত কাল এ কথা জানিয়ে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। শীর্ষ আদালতে সরকার জানিয়েছে, করোনা প্রতিষেধক উৎপাদনকারী পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। তাদের কাছ থেকে ১৮৮ কোটি টিকা মিলতে পারে। যদিও দেশে এখনও পর্যন্ত মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৫.৬ শতাংশ টিকা পেয়েছে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। হলফনামায় সরকার আরও উল্লেখ করেছে, গত ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ৩১ কোটি প্রতিষেধক ব্যবহৃত হয়েছে।

Advertisement

গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার পর থেকে এ নিয়ে বহু প্রশ্ন ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। একপ্রকার বাধ্য হয়েই টিকা-নীতি বদল করেছে কেন্দ্র। গত ২১ জুন থেকে শুরু হয়েছে গণটিকাকরণ কর্মসূচি। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে টিকাকরণ প্রক্রিয়া এগোচ্ছে তা জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র হলফনামা দিয়ে বলেছে, দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ৯৩ থেকে ৯৪ কোটি। তাঁদের টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসতে ১৮৬ কোটি থেকে ১৮৮ কোটি প্রতিষেধক লাগবে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ৫১ কোটি ৬০ লক্ষ টিকা হাতে পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে ১৩৫ কোটি টিকার।

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, ১৩৫ কোটি টিকা জোগাড়ের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গে কথা চলছে। সেক্ষেত্রে ৫০ কোটি কোভিশিল্ড, ৪০ কোটি কোভ্যাক্সিন, ৩০ কোটি বায়ো ই, ৫ কোটি জাইডাস ক্যাডিলা এবং ১০ কোটি স্পুটনিক ভি টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি করোনা প্রতিষেধক শীঘ্রই ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের দেওয়া শুরু হবে। শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে দিল্লির এমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, শিশুদের জন্য প্রতিষেধকের সহজলভ্যতা পুনরায় স্কুল খোলার পথকে প্রশস্ত করবে। তিনি জানান, ২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার তথ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে। তা নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনু্মোদন পেলে বাজারে চলে আসবে।

দেশে টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি বাড়লেও করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়াচ্ছে ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন। এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্র-সহ ১২টি রাজ্যে ৫১ জনের শরীরে ডেল্টা প্লাস স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, এই নয়া স্টেন ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে, ওই রাজ্যে যে ২১ জন ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত তাঁদের কেউই টিকা পাননি। আক্রান্তদের মধ্যে তিন জন নাবালক। রাজস্থানে প্রথম ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হলেন বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধা। কোভ্যাক্সিনের দু’টো ডোজ়ই নেওয়া হয়ে গিয়েছিল তাঁর। যদিও টিকা নেওয়ার পরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে সময় লাগে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement