প্রতীকী ছবি।
দেশি বা বিদেশি কোনও টিকা উৎপাদক সংস্থাকেই আইনি রক্ষাকবচ দেওয়ার বিষয়ে এখনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি বলে জানাল কেন্দ্র। এই রক্ষাকবচ থাকলে টিকা দেওয়ার পরে কোনও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হলে তার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ দিতেও সংস্থাটি বাধ্য থাকবে না।
দেশে করোনার টিকার অভাব সামাল দিতে বিদেশি সংস্থাগুলির জন্য ইতিমধ্যেই কিছু কিছু নিয়ম শিথিল করেছে কেন্দ্র। তারা চায়, দেশে প্রতিষেধকের ঘাটতি মেটাতে ফাইজ়ার ও মডার্নার টিকা দ্রুত ভারতের বাজারে আসুক। কিন্তু সমস্যা হল দু’টি সংস্থাই স্পষ্ট করে দিয়েছে, অন্য দেশের মতো ভারতকেও তাদের রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রশ্নে অঙ্গীকার করতে হবে। যা দেখে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউটও ভারত সরকারের কাছে আইনি রক্ষাকবচের আবেদন করে।
ওই সংস্থার যুক্তি, বিদেশি সংস্থাগুলিকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া হলে সমস্ত টিকা উৎপাদক সংস্থারই তা প্রাপ্য। আজ এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল বলেন, ‘‘ফাইজ়ারের সঙ্গে আইনি রক্ষাকবচের বিষয়টি নিয়ে দর কষাকষি এখনও চলছে। ফাইজ়ারের দাবি, পৃথিবীর অন্য দেশেও তাদের আইনি রক্ষাকবচ দেওয়া হয়ে থাকে। ভারতেও তা দেওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত করা হোক। আমরা খতিয়ে দেখেছি, ফাইজ়ারের দাবি সত্য।’’ বিদেশি সংস্থাগুলির দেখাদেখি দেশীয় সংস্থাগুলিও ওই দাবি জানিয়েছে। তাই সকলের দাবি-দাওয়া নিয়েই আলোচনা শুরু হয়েছে। এখনও এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
অন্য দিকে রাশিয়ার কোভিড প্রতিষেধক স্পুটনিক-ভি তৈরির অনুমতি পেয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরামের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল এই অনুমতি দিয়েছে। তবে আগে ওই প্রতিষেধক পরীক্ষা করে দেখবে সিরাম। তার পরে উৎপাদন শুরু হবে। তাতে অনেক সময় লাগবে। আপাতত কোভিশিল্ড ও কোভোভ্যাক্সকেই পাখির চোখ করছে তারা।