ফাইল চিত্র।
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে করোনা মোকাবিলায় কোনও ফাঁক রাখতে চায় না কেন্দ্র। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আজ নয়া নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনা মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি জানিয়েছে, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই একটি লাগাতার প্রক্রিয়া, শৈথিল্যের অবকাশ নেই।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭,৫৬৬ এবং করোনায় মৃত্যু এক হাজারের নীচে। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল আজ বলেন, ‘‘দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। কিন্তু ছ’টি রাজ্যের ১১১টি জেলায় এখনও দিনে শতাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এটা উদ্বেগের।’’ যে ছ’টি রাজ্যের কথা ভি কে পল উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও রয়েছে।
মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে রাজেশ ভূষণ যে নয়া নির্দেশিকাটি দিয়েছেন, তাতে করোনা মোকাবিলায় পাঁচটি দাওয়াইয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, করোনা পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা, টিকাকরণ ও কোভিড-বিধি মেনে চলা— এই পাঁচটি বিষয়ের উপরে প্রবল ভাবে জোর দিতে হবে। এর মধ্যে পরীক্ষা বাড়ানোর উপরে বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। সংক্রমণের সংখ্যা কমলেও পরীক্ষা যেন কমানো না-হয়, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায়। এর পাশাপাশি, করোনা চিকিৎসায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে সর্বদা প্রস্তুত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দেশিকায় উল্লেখ, শয্যা, অক্সিজেন-যুক্ত শয্যা, অক্সিজেন, আইসিইউ-র কোনও অভাব যেন না থাকে তা রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও সংক্রমণ বাড়লে দ্রুত কন্টেনমেন্ট জ়োন করতে হবে। তা জারি রাখতে হবে অন্তত ১৪ দিন। নয়া নির্দেশিকা আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পরে রীতিমতো যুদ্ধজয়ের আনন্দে মেতেছিলেন শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা। বাদ যাননি প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়ঙ্কর রূপ বুঝিয়ে দিয়েছে, এই লড়াই লাগাতার চালাতে হবে। গা-ছাড়া মনোভাবে আবারও বিরাট বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
এ দিকে, করোনা প্রতিষেধক কোভিশিল্ড নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেডিক্যাল সংগঠন ইউরোপীয় মেডিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, ওই প্রতিষেধকের ছাড়পত্র চেয়ে গত কাল পর্যন্ত তাদের কাছে কোনও আবেদন জমা পড়েনি।