প্রতীকী ছবি।
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক সংস্থাকে মানব দেহে তৃতীয় পর্বের ইন্ট্রান্যাজ়াল বা নাকের মাধ্যমে নেওয়া যায় এমন প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ছাড়পত্র দিল ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)। প্রাথমিক ভাবে বুস্টার ডোজ় হিসেবে ওই প্রতিষেধককে ব্যবহার করার কথা ভেবেছে কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধক নির্মাতা সংস্থা।
গত কয়েক মাস ধরেই নাকের মাধ্যমে নেওয়া টিকার প্রয়োগ নিয়ে গবেষণা চলছে এ দেশে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানান, ভারতে খুব শীঘ্রই ইন্ট্রান্যাজ়াল প্রতিষেধক আসতে চলেছে। প্রথম দুটি পর্বে ৪০০ ও ৬০০ জনের উপরে পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারত বায়োটেক। সূত্রের মতে, তৃতীয় দফায় অন্তত পাঁচ হাজার ব্যক্তির উপরে প্রয়োগ করার লক্ষ্য নিয়েছে ওই সংস্থা। ওই গবেষণা হবে ন’টি কেন্দ্রে। এ দেশের বড় সংখ্যক মানুষ কোভিশিল্ডের টিকা নিয়েছেন। তাই তৃতীয় পর্বের প্রয়োগে কোভিশিল্ড প্রতিষেধক নিয়েছেন এমন প্রায় আড়াই হাজার ব্যক্তিদের উপরে নাকের মাধ্যমে নেওয়া প্রতিষেধক বুস্টার ডোজ় হিসেবে কেমন কাজ করছে তা খতিয়ে দেখার কথা ভাবা হয়েছে। সূত্রের মতে, কোভ্যাক্সিন প্রতিষেধকপ্রাপকদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে বাকি আড়াই হাজার ব্যক্তিকে। সংস্থা আশা করছে, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে তৃতীয় দফার গবেষণা সেরে ফেলা সম্ভব হবে। ওই প্রয়োগ সফল হলে শিশুদের ক্ষেত্রে টিকাকরণ অনেক অনায়াসে করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তেমনই টিকাকরণের খরচ অনেক কমে যাবে বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক।