অসুখের গতি-প্রকৃতি বুঝতে রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে রাজ্যে। ছবি: পিটিআই।
বিভিন্ন রাজ্য থেকে ত্রুটির অভিযোগ ওঠার পরে চিন থেকে আদৌ আর করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট আমদানি করা হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে সরকার। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বেজিং-এর সঙ্গে নিরন্তর কথা চালাচ্ছে সে দেশের ভারতীয় দূতাবাস। অদূর ভবিষ্যতে আরও কিট আসার কথা ছিল চিন থেকে। নতুন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থাকে ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিটের বরাত দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। চিনা অ্যান্টিবডি কিটগুলির মাধ্যমে পরীক্ষা আপাতত অনির্দিষ্ট কাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
রাজস্থান, দিল্লি-সহ প্রায় আটটি রাজ্য থেকে অ্যান্টিবডি কিট নিয়ে অভিযোগ আসায় গত মঙ্গলবার দু’দিনের জন্য ওই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় আইসিএমআর। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই কিটে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে দু’দিনের জন্য সব রাজ্যকে পরীক্ষা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু দু’দিনের মাথায় আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, ত্রুটি খোঁজার কাজ চালু রয়েছে। যত দিন সমস্যার সমাধান না-হয় তত দিন ওই কিটগুলি ব্যবহার করতে রাজ্যগুলিকে বারণ করা হয়েছে। সূত্রের মতে, আগামী সপ্তাহেই বোঝা যাবে আদৌ ওই কিটগুলি দিয়ে কোনও কাজ হবে কি না। সেই সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা বন্ধ রাখার জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিচ্ছে আইসিএমআর। বলা হচ্ছে, পরীক্ষা করতে হলে প্রথাগত আরটিপিসিআর কিটেরই তা করে দেখা হোক।
ভারতে প্রথম চিনা কিট আসে ১৬ এপ্রিল চিনের গুয়াংঝৌ ওন্ডফো বায়োটেক এবং ঝুহাই লিভজন সংস্থা থেকে। নয়াদিল্লির চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং-এর বক্তব্য, ‘‘চিকিৎসা পণ্য রফতানির সময়ে তার মান সম্পর্কে যথেষ্ট সতর্ক থাকে চিন। আমরা ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি। এ ব্যাপারে যতটুকু সহযোগিতা করার তা করা হবে।’’
এর আগে ব্রিটেন, স্পেন, চেক প্রজাতন্ত্র, জর্জিয়া, তুরস্ক, নেদারল্যান্ডসও চিনা কিট নিয়ে ত্রুটির অভিযোগ তুলেছে। চিনা কিটের মান ও দাম নিয়েও সরব হয়েছে হরিয়ানা, রাজস্থানের মতো রাজ্য। প্রয়োজনে অন্য দেশ থেকে কিট আনানোর কথা ভাবছে বেশ কিছু রাজ্য। এ দিকে, করোনা পরীক্ষার আরটিপিসিআর ডায়গনিস্টিক কিট বানাতে সক্ষম হয়েছে আইআইটি দিল্লি। গবেষকেরা জিনোম ক্রমকে বিশ্লেষণ করে একটি ব্যতিক্রমী আরএনএ-র অংশকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছেন। যে প্রকারের করোনাভাইরাস মানবদেহে সংক্রমিত হয়, আরএনএ-র ওই অংশটি শুধু তাতেই থাকে। এই কিটকে মান্যতা দিয়েছে আইসিএমআর।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)