ছবি: সংগৃহীত।
আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-সহ ৪৪ জন কর্মীর কোভিডে মৃত্যুর পিছনে করোনার কোনও ভয়াল প্রজাতিই দায়ী। এমনটাই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সন্দেহ নিরসনে মৃতদের থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তার ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ করার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
সম্প্রতি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মেডিসিন, মনোবিজ্ঞান-সহ একাধিক বিভাগের ১৯ জন অধ্যাপক এবং ২৫ জন শিক্ষাকর্মীর করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে। এর পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশের এলাকায় করোনার অন্য কোনও প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে মত উপাচার্য তারিক মনসুরের। এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-কে চিঠিও লিখেছেন তিনি। চিঠিতে তারিকের দাবি, ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় এবং তার আশপাশের এলাকায় করোনার কোনও নির্দিষ্ট প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে সন্দেহ হচ্ছে’। ওই চিঠির পাশাপাশি পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটিভ বায়োলজি-তে। দিল্লির কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের অধীনস্থ ওই গবেষণাকেন্দ্রে নমুনার জিনের সজ্জারীতি (জিনোম সিকোয়েন্সিং) খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ হাজার পড়ুয়ার মধ্যে ১৯টি হস্টেলে থাকেন ১৬ হাজার জন। এমনকি, সংক্রমণের প্রথম পর্বে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও তাঁদের বেশ কয়েক জন হস্টেলেই থেকে যান। তবে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে চলাকালীন মাত্র ৫০-৬০ জনই হস্টেলে রয়েছেন। সলমন কামার নামে এক গবেষক বলেন, “গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতায় ওই ৫০-৬০ জনকে হস্টেলে থাকতে হচ্ছে। তবে প্রায় প্রতিদিনই পড়ুয়াদের মা-বাবারা ফোন করে তাঁদের বাড়ি ফিরে আসতে বলছেন।”