হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। ছবি: পিটিআই।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ভারতে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ৬১। বুধবার রাজস্থানের জয়পুরে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধের দেহে নতুন করে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬২। রাজস্থানের স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রোহিত কুমার জানিয়েছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই থেকে জয়পুর ফেরেন ওই বৃদ্ধ। তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পরই সংক্রমণের বিষয়টি সামনে আসে। ওই বৃদ্ধকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার নতুন করে ১৬ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁদের মধ্যে আট জন কেরলের, তিন জন কর্নাটকের এবং পাঁচ জন মহারাষ্ট্রের পুণের। এর আগে বেঙ্গালুরু, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু এবং পঞ্জাবে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রাজ্যে বাড়তে থাকা আক্রান্তের সংখ্যার বিষয়টি উল্লেখ করে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা আর্জি জানিয়েছেন, যাঁরা বিদেশ থেকে এ রাজ্যে ফিরছেন, তাঁরা যেন সরকারের কাছে কোনও তথ্য গোপন না করেন। পাশাপাশি তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন, জনস্বাস্থ্য আইন অনুয়াযী ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য গোপন করা একটা অপরাধ। এতে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে দেশ জুড়ে। সংক্রমণ ঠেকাতে আগেই ইটালি, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এবং চিনের মতো করোনা আক্রান্ত দেশগুলির নাগরিকদের ভিসা বাতিল করেছিল ভারত সরকার। এই তালিকায় এ বার জুড়ল ফ্রান্স, জার্মানি এবং স্পেন। ই-ভিসার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। অন্য যে সব বিদেশি নাগরিকেরা এই তিন দেশে চলতি বছরের পয়লা ফেব্রুয়ারি বা তার পরে গিয়েছিলেন, তাঁদের ভিসাও স্থগিত করা হচ্ছে। এক ট্র্যাভেল অ্যাডভাইজরি জারি করে সরকারের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আক্রান্ত বেড়ে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার, পুরো ইটালি জুড়ে জারি ‘কোয়ারেন্টাইন’
আরও পড়ুন: করোনা থেকে বাঁচতে এই ভাবে হাত ধুয়ে নিন, মেনে চলুন এ সব সতর্কতা
ইতিমধ্যেই চিন লাগোয়া ভারতের রাজ্যগুলোতে বিদেশিদের প্রবেশের অনুমতির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্য দিকে, মণিপুর সরকার ভারত-মায়ানমার সীমান্তে সমস্ত প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি, বিদেশিদের প্রবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তারা।
ইরান থেকে মঙ্গলবারই ৫৮ জন ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বায়ুসেনার সি-১৭ গ্লোবমাস্টার বিমানে করে তাঁদের গাজিয়াবাদের হিণ্ডন বিমানঘাঁটিতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এক বিশেষ শিবিরে ওই ৫৮ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।