ছবি: এএফপি।
দেশের মোট করোনা আক্রান্তের ৮০ শতাংশ রোগীর আঁতুড়ঘর ৩০টি পুরসভাই। ১২টি রাজ্যের ওই ৩০টি পুরসভার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে আজ সংক্রমণ রুখতে আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সূদন। মুম্বই, আমদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা ও হায়দরাবাদে যে ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারা। বিশেষ করে আমদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে আজ সবিস্তার আলোচনা হয়। সংক্রমণ ঠেকানোর প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের রাজ্যর ব্যর্থতা ঘুম কেড়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের।
আমদাবাদে যে ভাবে ‘সুপার স্প্রেডার’ মিলেছে, তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। একসঙ্গে যাঁরা অনেককে সংক্রমিত করতে পারেন এমন সুপার স্প্রেডারদের খোঁজে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল আমদবাদে। এমন ৩৩,৫০০ জনকে চিহ্নিত করে প্রশাসন। যার মধ্যে সাড়ে বারো হাজারের করোনা পরীক্ষা হয়। ৭০০ জনের সংক্রমণ মিলেছে। যার মধ্যে দোকানি, দুধওয়ালা, আনাজ বিক্রেতা, পেট্রল পাম্প কর্মী, সাফাই কর্মীর মতো সব ধরনের লোক রয়েছে।
আজ বৈঠকে বাজারের বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। গত কালই সংক্রমণে চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছিল ভারত। আজ সকালে সরকার জানিয়েছে গত চব্বিশ ঘণ্টায় ৩৯৬৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যার ফলে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৫,৯৪০। চব্বিশ ঘণ্টায় ১০০ জন মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা হয়েছে ২৭৫২। সোমবার থেকে রাজ্যে কার্ফু তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ। তবে লকডাউন থাকছে ৩১ মে পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বেসরকারি পুঁজিকে মহাকাশে ঢোকার অনুমতি, মিলবে ইসরোর সাহায্যও
আরও পড়ুন: ‘আপনার সাইকেলটি নিয়ে চললাম, আমায় ক্ষমা করবেন’