প্রতীকী ছবি।
চিনের পর নোভেল করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি থাবা বসিয়েছে ইরানে। তেহরান-সহ ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়। আপাতত দেশে ফেরানো সম্ভব না হলেও তাঁদের রক্ত ও অন্যান্য নমুনা নিয়ে দেশে ফিরছেন ভারতীয় চিকিৎসকরা। অন্য দিকে অমৃতসরে বেড়াতে আসা ইরানের ১৩ জন পর্যটককে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আলাদা করে রাখা হয়েছে।
ইরান থেকে প্রচুর ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্ধারের আর্জি জানাচ্ছেন প্রায় প্রতিদিন। আটকে পড়া ভারতীয়র সংখ্যা কত, তাঁদের কত জন সংক্রামিত— এই সব তথ্য জোগাড় করতে তেহরানে চিকৎসক-সহ একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় ভারত সরকার। তাঁরা ইরানের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ৩০০ জন ভারতীয়র রক্ত ও অন্যান্য নমুনা সংগ্রহ করেছেন। সর্দি-জ্বর-কাশির মতো উপসর্গ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের আলাদা করে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই ৩০০ জনের নমুনা নিয়েই দেশে ফিরছেন চিকিৎসকদের একটি দল। তবে অন্য একটি দল এখনও তেহরানেই রয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতের দিকে তাঁদের বিমান দিল্লিতে পৌঁছনোর কথা। ওই নমুনাগুলি পরীক্ষা করে কারও সংক্রমণ নিশ্চিত হলে, সেই অনুযায়ী ইরানে থাকা প্রতিনিধি দলটিকে বার্তা পাঠানো হবে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনা আতঙ্ক, বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
নুমনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার পাশাপাশি ইরানে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। গতকাল বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, ইরানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের সব রকম আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি তৈরি হলেই তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ আরও এক জনের, আক্রান্ত বেড়ে ৩১, বাড়ছে আতঙ্ক
ইরান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই ১৩ জনের একটি পর্যটকের দল বেড়াতে এসেছেন পঞ্জাবের অমৃতসরে। কিন্তু সংক্রমণের সন্দেহে শুক্রবার সকালে হোটেলেই তাঁদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। ওই পর্যটকদের কেউই করোনা আক্রান্ত নন। তবু আগাম সতর্কতা হিসেবেই তাঁদের আলাদা করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত হোটেল থেকে তাঁদের বাইরে বেরনো নিষেধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অমৃতসর প্রশাসন।