Coronavirus

করোনা: দেশে দরকার ৩.৮ কোটি মাস্ক

এই পরিস্থিতিতে ২৭ মার্চ তারিখের চার পাতার ওই রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, দ্রুত এই সব সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারে এমন সংস্থার খোঁজ করেছে তারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২০ ০৪:০০
Share:

ফাইল চিত্র। রয়টার্স।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে কমপক্ষে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মাস্ক এবং ৬২ লক্ষ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রয়োজন, একটি সংস্থার সমীক্ষা রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্য। যত এই মারণ-ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, তত মাস্ক-সহ বিভিন্ন সুরক্ষা-সরঞ্জামের চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত সুরক্ষা-সরঞ্জাম নেই।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে ২৭ মার্চ তারিখের চার পাতার ওই রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, দ্রুত এই সব সরঞ্জাম সরবরাহ করতে পারে এমন সংস্থার খোঁজ করেছে তারা। ভেন্টিলেটর, আইসিইউ মনিটর, সুরক্ষা-সরঞ্জাম, মাস্ক এবং টেস্টিং কিটের জন্য ইতিমধ্যেই তারা ৭৩০টি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তার মধ্যে সাড়া দিয়েছে ৩১৯টি সংস্থা। সংস্থাটির রিপোর্টে উঠে এসেছে, চাহিদা এত বিপুল হলেও বিভিন্ন সংস্থা ৯১ লক্ষ মাস্ক সরবরাহ করতে সক্ষম।

মাত্র ৭টি রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়েছি সংস্থাটি। তাতে উঠে এসেছে, যে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ মাস্ক ভারতে দরকার, তার মধ্যে ১ কোটি ৪০ লক্ষ লাগবে রাজ্য সরকারগুলির। বাকিটা প্রয়োজন কেন্দ্রের। ফলে সংস্থাটির আশঙ্কা, সুরক্ষা-সরঞ্জামের চাহিদা আরও বাড়তে পারে।

Advertisement

সমীক্ষাকারী সংস্থাটি কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে হাত হাত মিলিয়ে কাজ করে। দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচটি সংস্থা থেকে টেস্ট কিট আমদানি করার জন্য ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গেও কাজ করছে তারা। সুরক্ষা-সরঞ্জামের অভাবের কারণে উদ্বিগ্ন ডাক্তারেরাও। বিহারের চিকিৎসক সংগঠনের সভাপতি রবি আর কে রমন জানান, এখানকার ডাক্তারদের যথোপযুক্ত সুরক্ষা-সরঞ্জাম নেই। এবং কিছু চিকিৎসক করোনা-রোগীদের ওয়ার্ডে ঢুকতেও ভয় পাচ্ছেন। রমন বলেন, ‘‘এই সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। কিন্তু আমাদের উপযুক্ত সুরক্ষা-সরঞ্জাম দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement