দিল্লির এমসের ৪৮০ স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হলেন করোনাভাইরাসে। ফাইল চিত্র।
দিল্লির এমস হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ১৯ জন চিকিৎসক ও ৩৮ জন নার্স-সহ ৪৮০ জনেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ওই ভাইরাসের হামলায়। চিকিৎসকদের মধ্যে দু’জন ফ্যাকাল্টি সদস্যও রয়েছেন। এ ছাড়াও এমসের ৭৪ জন নিরাপত্তারক্ষী, ৭৫ জন অ্যাটেন্ড্যান্ট, ৫৪ জন সাফাই কর্মী, ১৪ জন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং কয়েকজন অপারেশন থিয়েটারের কর্মীরও কোভিড-১৯ টেস্টের ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুক্ত এমসের তিন জন স্বাস্থ্যকর্মীর ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের সাফাই বিভাগের প্রধান। সেখানকার মেসের এক কর্মীরও মৃত্যু হয়েছিল করোনার কারণে। তার পরই গত সপ্তাহে রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের সংগঠন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। দিন তিনেক আগে সেখানকার নার্সদের সংগঠনও প্রতিবাদ জানায়, যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে তা বিপজ্জনক। নার্সদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া পিপিই কিটের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
এপ্রিলে এমসে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তার পর কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছিল। মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ত থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এমসের বহির্বিভাগ। যা এমসের ইতিহাসে প্রথম। দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এমসের ট্রমা সেন্টারকে পুরোপুরিভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পরিবর্তিত করা হয়।
আরও পড়ুন: হাতির মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় দেশ, তদন্তের নির্দেশ কেরলে
মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৫১৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। এ নিয়ে দিল্লিতে মোট আক্রান্ত হলেন ২৩ হাজার ৬৪৫ জন। করোনার কারণে মোট ৬০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে দিল্লিতে।
আরও পড়ুন: সংক্রমণে ফের নয়া নজির! ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৯৩০৪ জন