সারা দেশকে করোনা-মোকাবিলায় এ সময় পথ দেখাচ্ছে ‘ভিলওয়াড়া মডেল’। ভিলওয়াড়াকে সম্পূর্ণ করোনা-মুক্ত করতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন সমস্ত প্রশাসনিক কর্তা-কর্মীরা।
ভিলওয়াড়ার জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভট্টর সঙ্গে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন এই আইএএস দম্পতিও। টিনা দাবি এবং আতহার আমির। মনে পড়ছে এই আইএএস দম্পতিকে? এক সময় সারা দেশে চর্চা হয়েছিল এঁদের নিয়ে। অনেকেই জানেন না, এই মুহূর্তে কর্মসূত্রে এঁরা ভিলওয়াড়াতেই রয়েছেন।
২০১৫ সালে ইউপিএসি পরীক্ষায় গোটা দেশের মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন দিল্লির তরুণী টিনা দাবি। ২২ বছরের টিনা প্রথম বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন। আর দ্বিতীয় হয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের আতহার আমির উল শফি খান।
পরের বছর ২০১৬ সালে প্রথমে ভিলওয়াড়ার এসডিএম হয়ে আসেন টিনা দাবি। তার সপ্তাহ খানেক পর ওই একই জেলায় এসডিও হয়ে যোগ দেন আতহার। এখনও তাঁরা ভিলওয়াড়াতেই কর্মরত।
টিনা এবং আতহার— ২০১৫ ব্যাচের এই দুই আইএএস টপারের প্রেম কাহিনি সারা দেশে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল এক সময়।
প্রথম দেখাতেই প্রেম। সকালে আলাপ। আর সন্ধেয় প্রেম নিবেদন। প্রথমটায় সাড়া না মিললেও মাস চারেকের মধ্যেই প্রেমে সায়। এ ভাবেই এগিয়েছে টিনা আর আতহারের প্রেমকাহিনি।
ইউপিএসসি-তে এক নম্বর হওয়ার পর টিনা মুসৌরিতে লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ ট্রেনিং নেন।
দু’জনের প্রথম দেখা অবশ্য নয়াদিল্লিতে। নর্থ ব্লকের ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল অ্যান্ড ট্রেনিং (ডিওপি)-এর অফিসে তাঁদের সংবর্ধনা দেওয়ার সময়।
আতহারের তরফে ছিল, লভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট। তাঁদের দেখা হয়েছিল সকালে আর সন্ধে গড়াতে না গড়াতেই টিনাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন আতহার। তবে প্রথমেই তাতে সাড়া দেননি টিনা।
চার মাস পর অগস্টে গিয়ে শেষমেশ আতহারের প্রস্তাবে সায় দেন তিনি। দু’জনের বিয়েও হয়। তবে আতহার-টিনার সম্পর্কের পথে কাঁটাও কম ছিল না।
ফেসবুকে তাঁদের বিয়ের ছবি পোস্ট করায় অভিনন্দনের বন্যা যেমন বয়ে গিয়েছে। নিন্দাতেও মুখর হয়েছেন অনেকেই। কেন?
দিল্লির তরুণী টিনা দলিত। তাই তাঁর সঙ্গে কাশ্মীরি মুসলিম পরিবারের ছেলে আতহারের এই সম্পর্ক নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে ছাড়েননি অনেকে। তবে সে সব একেবারেই গায়ে মাখতে রাজি নন টিনা।
আপাতত এই কঠিন সময়ে দু’জনেই একসঙ্গে লড়ছেন ভিলওয়াড়ার করোনা-মোকাবিলায়।