দিল্লির বাজারের এই ভিড়ই এখন উদ্বেগের কারণ।
দিওয়ালির পর দিল্লিতে মাত্রা ছাড়িয়েছে করোনা সংক্রমণ। রকমসকম দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘তৃতীয় দফার ঢেউ’ আছড়ে পড়েছে দেশের রাজধানীতে। এই পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে এ বার বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতের ঊর্ধ্বসীমা আগের মতোই ৫০ জনে বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। একইসঙ্গে ‘হটস্পট’ হিসাবে পরিচিত বাজারগুলিও আপাতত বন্ধ রাখার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। সিদ্ধান্তগুলি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল বৈজলের কাছে।
এ দিন এক সাংবাদিক বৈঠকে কেজরীবাল দাবি করেন, ‘‘কয়েক সপ্তাহ আগেই দিল্লির করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। তখন বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ৫০ জন থেকে বাড়িয়ে ২০০ জন পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ সরকার প্রত্যাহার করবে বলে স্থির করেছে।’’ বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে আগের অবস্থানেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। এখন সেই সীমা ২০০ থেকে কমিয়ে ৫০ করা হয়েছে।
কেজরীবাল আরও বলেন, ‘‘দিওয়ালির সময় শহর জুড়েই বিভিন্ন বাজারে ভিড় নজরে এসেছে। বহু মানুষ কোভিড বিধি ভেঙে, মাস্ক না পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বাজারে বেরিয়েছিলেন। তার ধাক্কায় সংক্রমণ লাগামছাড়া।’’ এ দিন আরও এক ধাপ এগিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘যে বাজারগুলি সম্ভাব্য ‘হটস্পট’ বলে মনে হচ্ছে সেগুলি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করব।’’ দিল্লিবাসীকে কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য ‘করজোড়ে’ আবেদন জানিয়েছেন কেজরীবাল।
আরও পড়ুন: লাদাখ সঙ্কটের মধ্যেই ব্রিকস বৈঠকে আজ দ্বিতীয় সাক্ষাৎ মোদী-চিনফিংয়ের
আরও পড়ুন: ফুরফুরার পিরজাদা ত্বহার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অধীর-মান্নান
অক্টোবরের শেষ দিক থেকেই সংক্রমণ বাড়ছে দিল্লিতে। গত ৩ নভেম্বর দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজার ৭২৫-এ গিয়ে ঠেকেছিল। ৩ দিন পর তা নতুন রেকর্ড করে পৌঁছয় ৭ হাজারে। শেষ পর্যন্ত গত ১১ নভেম্বর অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ৮ হাজারেরও বেশি। যদিও গত ২ দিনে সেই সংখ্যাটা বেশ কিছুটা কমেছে। কিন্তু সংক্রমণে রাশ টানা গেলেও দৈনিক মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না। কারণ গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে করোনায় ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।