ছবি সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ইতিমধ্যে করোনামুক্ত রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী এই পাহাড়ি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা-শূন্য। লকডাউন পালনের পাশাপাশি সীমানা বন্ধ করে রোজ চলছে টেস্ট। এ বার পর্যটন নির্ভর সিকিমের লকডাউনের পরের ধাপ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। স্থির হয়েছে দেশ করোনামুক্ত হলেই সিকিমকে ‘করোনামুক্ত স্বাভাবিক ছন্দের প্রাকৃতিক গন্তব্য’ হিসেবে তুলে ধরে প্রচার করা হবে। গত সপ্তাহে সিকিমের গ্যাংটকে শিল্প এবং বাণিজ্য দফতরের কনফারেন্স হলে একাধিক সচিব, পর্যটন এবং পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠকে তা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের তরফে ব্যবস্থা ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কী কী সাহায্য চাওয়া হবে তা ঠিক করার কাজ চলছে।
সিকিমের রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আমাদের রাজ্য পর্যটনের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। রাজ্যের খাতে পর্যটন থেকে অনেক টাকাই আসে। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে কী করতে হবে তা ঠিক করা চলছে। করোনামুক্ত রাজ্য সিকিম, এই তকমা বজায় রেখেই প্রচারের কথা ভাবা হচ্ছে। সমস্ত কিছু কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে সেখানকার প্রশাসন। করোনার কারণে ৫ মার্চ বিদেশিদের রাজ্যে ঢোকা বন্ধ করেছিল সিকিম। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা না করায় কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের তরফে চিঠি দেওয়া হয় সিকিমকে। ১৭ মার্চের পর থেকে পুরোপুরিভাবে সিকিমে পর্যটক ঢোকা বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি সিকিমের পর্যটন মন্ত্রী বিএস পন্থ জানিয়েছেন, দেশের পর্যটকদের জন্য পুজোর আগে অবধি এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য ডিসেম্বর অবধি বন্ধ থাকবে সিকিম। এখন গোটা সিকিমে টানা চলছে স্যানিটাইজ়েশনের কাজ। এখনও অবধি সিকিম করোনা শূন্য।
পর্যটন নির্ভর সিকিমের আগামী দিনে মোকাবিলার পথ এখনই তৈরি করতে চাইছে সিকিম। সেখানে জিএসটিতে ১২ মাসের ছাড়, ঋণের সুদে ছাড়, সহজ কিস্তিকে আরও সহজ করা, বিভিন্ন হোটেল, লজ রেজিস্ট্রেশন ফি, পার্কিং এবং সিকিম ঘোরার বিভিন্ন ফি কমানোর মত প্রস্তাব গত সপ্তাহের বৈঠকে এসেছে। পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘করোনামুক্ত হিসাবে নিজেদের তুলে ধরে প্রচারের বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়।’’