কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটি মুম্বইয়ে। ফাইল চিত্র।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরাও। এর মধ্যেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকূটি। আজ মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পডনেকর দাবি করেছেন, মুম্বইয়ে করোনার তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে।
আচমকাই মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। অগস্টে মুম্বইয়ে যত জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম ছ’দিনে তার ২৮ শতাংশ সংক্রমিত হয়েছেন। আসন্ন গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে রাস্তায় ভিড় না করার জন্য আমজনতার কাছে আবেদন জানিয়েছেন মেয়র কিশোরী। তাঁর সতর্কবার্তা, ভিড় বাড়লে সংক্রমণও বাড়বে। তাঁর কথায়, ‘‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। এই গণেশ উৎসবে আমি কোথাও যাব না। কারণ, তৃতীয় ঢেউ আসছে— এই কথা বলার সময় এখন পেরিয়েছে। শহরে তৃতীয় ঢেউ এসে গিয়েছে।’’ নগরবাসীর উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, রাজ্য সরকার যা যা করণীয় তা করবে। কিন্তু সাধারণ মানুষকে নিজেদের সুরক্ষার দিকেও নজর রাখতে হবে।
গোটা দেশে অবশ্য দৈনিক সংক্রমণ গত কালের তুলনায় কমেছে। দৈনিক মৃতের সংখ্যাও ৩০০-র নীচে। দৈনিক সংক্রমণে এখনও শীর্ষে কেরল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই দক্ষিণী রাজ্যে সাড়ে ১৯ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। কোভিড মোকাবিলায় নাজেহাল দশার মধ্যেই দক্ষিণের এই রাজ্যের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে নিপা ভাইরাসের হানা। গত রবিবার নিপা ভাইরাসে কোঝিকোড়ে এক কিশোরের মৃত্যুর হয়। ওই কিশোরের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন তাঁদের অনুসন্ধান ও চিহ্নিত করতে প্রশাসন তৎপর হয়েছে প্রশাসন। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিনা জর্জ বলেন, ‘‘২৪টি নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। আট জনের প্রত্যেকের তিনটি করে নমুনা পাঠানো হয়। রিপোর্ট নেগেটিভ। মৃত কিশোরের বাবা-মা এবং উপসর্গ থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের রিপোর্টও নেগেটিভ। এটা স্বস্তির।’’
কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নিপায় মৃত কিশোরের সংস্পর্শে আসা ২৫০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁদের অবস্থা উদ্বেগজনক তাঁদের কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে নতুন চালু হওয়া নিপা ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।