চা বাগানে ভেঙে পড়ে কপ্টার। ছবি: পিটিআই।
নয়াদিল্লি থেকে তামিলনাড়ুর সুলুরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ তথা সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়ত। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মধুলিকাও। সেই যাত্রা শেষ হয়েছিল নির্বিঘ্নে। কিন্তু সুলুর থেকে ওয়েলিংটনের উদ্দেশে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কী করে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা? সেই রহস্য লুকিয়ে রয়েছে নীলগিরির জঙ্গলের কোলে থাকা এক টুকরো চা বাগানে। সেখানেই আকাশ থেকে মাটিতে আছড়ে পড়ে রাওয়তের কপ্টার।
দুর্ঘটনার জেরে কপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিক ভাবে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বিপিনকে। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। তবে এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাণ হারান বিপিনের স্ত্রী মধুলিকাও। ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ভারতীয় বায়ু সেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। দুর্ঘটনার পর আগুন জ্বলে যায় কপ্টারটিতে। যাত্রীরা সকলেই কমবেশি অগ্নিদগ্ধ হন। নিহতদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা হবে বলে সূত্রের খবর। কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটল তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বুধবার সকালে দিল্লি থেকে তামিলনাড়ুর সুলুর উড়ে আসেন সস্ত্রীক বিপিন। সুলুর এয়ারবেস থেকে কপ্টারে চড়ে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার ওয়েলিংটনে। বুধবার বিপিনের ওয়েলিংটন সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন সেনার বেশ কয়েকজন পদস্থ কর্তা। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এই ওয়েলিংটনের উচ্চতা এক হাজার ৮৮০ মিটার। বুধবার কুয়াশায় মোড়া ছিল ওই এলাকা। প্রথম আকাশ সফর নির্বিঘ্নে ঘটলেও, রাওয়তের ওয়েলিংটন যাত্রায় ঘটল দুর্ঘটনা। সুলুর থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে বেলা ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ বিপিনের কপ্টার ভেঙে পড়ে নীলগিরির একটি চা বাগানে। সূত্র বলছে, গন্তব্য থেকে সেই সময় কপ্টারটির দূরত্ব ছিল মাত্র মিনিট পাঁচেকের। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক মৃত্যু হয় বিপিনের।