বলিউডের সিনেমাতেই সাধারণত এ ধরনের টান টান প্লট দেখা যায়। ফাইল চিত্র।
এ যেন বলিউডের জনপ্রিয় ফিল্ম সিরিজ ‘ধুম’-এরই বাস্তব রূপ। বাইক চেপে চোরের পালিয়ে যাওয়া, ছদ্মবেশে পুলিশের চোর ধরা— সব আছে। তবে চোর এখানে পুলিশকে ফাঁকি দিতে পারেনি। ধরা পড়েছে।
নকল গোঁফ-দাড়ি লাগিয়ে ছদ্মবেশে চোর ধরতে সাধারণত সিনেমাতেই দেখা যায়। সম্প্রতি মুম্বইয়ের আসল পুলিশকেও চোর ধরতে দেখা গেল ভেক ধরে। মুম্বইয়ের একটি রেলস্টেশনের বাইরে ফাঁদ পেতে চোরের জন্য ছদ্মবেশে অপেক্ষা করছিল পুলিশের একটি দল। প্রায় তিন দিন অপেক্ষার করার পর দুই কুখ্য়াত ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করল তারা।
কেমন সেই চোর? মুম্বইয়ের পুলিশের কথায় ‘অত্যন্ত ধূর্ত’ এবং দীর্ঘ দিন ধরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ফাঁকি দিয়ে আসছে তদন্তকারীদের। চেষ্টা করেও তাদের ধরতে পারেনি মুম্বই পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই মুম্বইয়ের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় একের পর এক মহিলাদের হার ছিনতাইয়ের ঘটনার রিপোর্ট আসছিল পুলিশের কাছে। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জেনেছিল, কুখ্যাত দুই ছিনতাইবাজ এর সঙ্গে জড়িত। যারা ছিনতাই করার পরই বাইকে চেপে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। পরে সেই বাইক পাওয়া যায় বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে। মুম্বই এমনই একটি বাইকের খোঁজ পেয়ে চোরেদের জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশের একটি দল।
বাইকটির উপর সতর্ক নজরে রেখে চোরেদের আসার অপেক্ষা করতে শুরু করে তারা। পুলিশের পোশাক দেখলে চোরেরা সতর্ক হতে পারে ভেবে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার ডেলিভারি বয়দের পোশাক পরে এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে শুরু করে দলটি। টানা তিন দিন অপেক্ষা করার পরে চোর ধরা দেয় জালে।
মুম্বই পুলিশের ওই দলটির দুই তদন্তকারীর নামও জানিয়েছে মুম্বইয়ের অম্বিভলি থানা। ওম ততভর এবং রাহুল ভালুস্কর ছিলেন দলটির পুরভাগে। তবে চোরকে ধরা খুব সহজও হয়নি তাঁদের পক্ষে। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, ধরা পড়েও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ওই দুই ছিনতাইবাজ। এমনকি তাঁদের বাঁচাতে এসেছিল স্টেশন চত্বরে থাকা কিছু মহিলাও।