সেই প্রি-ওয়েডিং ভিডিয়ো।
হবু বৌয়ের কাছ থেকে ‘ঘুষ’ নিয়ে ফাঁপরে এক পুলিশ অফিসার!
না, সত্যিই ঘুষ নিয়েছেন এমনটা নয়। বিয়ের আগে আজকাল অনেক হবু বর-কনেদের নিজেদের ক্যামেরাবন্দি করেন। বাগদত্তার সঙ্গে সে রকমই একটি ভিডিয়ো শুট করেছিলেন রাজস্থানের উদয়পুর জেলায় কর্মরত ধনপত নামে ওই অফিসার। তবে সে সময়ে তাঁর গায়ে পুলিশের উর্দি থাকায় তৈরি হয় বিপত্তি! উর্দি গায়ে দৃশ্যটি শুট করায় ওই পেশা সম্পর্কে সমাজে ভুল বার্তা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে।
ইউটিউব-সহ বিভিন্ন জায়গায় আপলোড করা হয় এই প্রি-ওয়েডিং ভিডিয়োটি। যে দৃশ্যটি নিয়ে আপত্তি তা হল এই রকম— বাগদত্তা কিরণ হেলমেট ছাড়া স্কুটি চালানোয় তাঁকে আটকাচ্ছেন ধনপত। কিরণ তখন ধনপতের পকেটে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে চলে যান। তবে ধনপত পরে বুঝতে পারেন যে তাঁর পকেট থেকে তাঁর টাকা রাখার ব্যাগটিই উধাও হয়ে গিয়েছে! মানিব্যাগটি ফেরত নিতে ফের সেই কিরণের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আর সেই সাক্ষাতেই তাঁদের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, ভিডিয়োটি চিত্তোরগড়ে কর্মরত এক অফিসারের চোখে পড়ায় তিনি তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনেন। দৃশ্যটি পুলিশের উর্দির প্রতি অবমাননাকর বলে কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি। এর পরেই সব রেঞ্জ ইনস্পেক্টরদের উদ্দেশে এক নোটিস জারি করেন আইজি (আইনশৃঙ্খলা) হাওয়া সিংহ ঘোমারিয়া। উর্দির অবমাননা করলে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নোটিসটিতে। উর্দির সম্মান রক্ষা সম্পর্কে আরও বেশ কয়েকটি আচরণ বিধির উল্লেখ রয়েছে ওই নির্দেশিকায়। যার মধ্যে একটি হল, প্রি-ওয়েডিং শুটে কোনও ভাবেই পুলিশের উর্দি ব্যবহার করা যাবে না।