ফের আদালতে দোষীদের আইনজীবী।—ফাইল চিত্র।
ফের আদালতের দ্বারস্থ নির্ভয়া মামলায় দণ্ডিতদের আইনজীবী। শুক্রবার আইনজীবী এ পি সিংহ দিল্লির পাটিয়ালা কোর্টে দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলরা সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন (রায় সংশোধনীর আর্জি) এবং রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে আগ্রহী। কিন্তু তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না-দেওয়ায় তিন দণ্ডিত আপিল করতে পারছে না। কাল, শনিবার, সেই আবেদনের শুনানি হবে।
৭ জানুয়ারি দিল্লির এই দায়রা আদালতই চার দণ্ডিতের ফাঁসির দিন ২২ জানুয়ারি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে এক দণ্ডিত পবনকুমার গুপ্ত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়। সেই আবেদন না-মঞ্জুর হলেও আইনমাফিক ফাঁসির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে, চার জনের ফাঁসি হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
দণ্ডিতদের আইনজীবী এ পি সিংহ এ দিন জানান, চার দণ্ডিতের মধ্যে দু’জন— অক্ষয় ঠাকুর ও পবন সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করতে চায়। কিন্তু তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আটকে রেখেছে। ফলে দণ্ডিতরা রায় সংশোধনীর আপিল করতে পারছে না। অন্য দুই দণ্ডিত, মুকেশ সিংহ ও বিনয় শর্মা এর আগেই সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেছিল। তাদের সেই দাবি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: বোলসোনারো কেন অতিথি? বিতর্ক শুরু
আজ আদালতে আইনজীবী সিংহ আরও দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলরা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে চায়। কিন্তু সে বিষয়েও অসহযোগিতা করছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
বুধবারই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টকে আর্জি জানিয়েছে যাতে ফাঁসির দিন ঘোষণার পরে নির্দেশ কার্যকরের জন্য সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে-ও মন্তব্য করেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কাছে যদি এই বার্তা যায় যে, ফাঁসির দিনক্ষণ ঘোষণার পরে তা যত বার খুশি পিছোনো যাবে, তা হলে তা অত্যন্ত ভুল হবে।