—প্রতীকী চিত্র।
এ যেন অনেকাংশে দস্যু রত্নাকর থেকে বাল্মীকি হওয়ার কাহিনি। জেলবন্দি দশাতেই ভোল বদলে ‘ডন’ হয়ে উঠল ‘সাধু’। রীতিমতো দীক্ষা নিয়ে সাধুর জীবনে পদার্পণ করল উত্তরাখণ্ডের এক সময়ের ‘ত্রাস’। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। কিছু মামলায় দোষীও সাব্যস্ত হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত। চলছে একাধিক মামলা। তার মধ্যে রয়েছে তোলাবাজি, ডাকাতি ও খুনের অভিযোগ। একাধিক গুরুতর অপরাধের আসামি প্রকাশ পাণ্ডে ওরফে পিপি ভাই। পরিচয় বদলে হয়ে উঠেছে প্রকাশানন্দ গিরি। উত্তরাখণ্ডের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ে প্রকাশ, আসামি প্রকাশ বর্তমানে উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি। বৃহস্পতিবার সন্ন্যাসী বেশধারী দুই ব্যক্তি জেলের ভিতরে প্রবেশ করেন এবং প্রকাশের ‘দীক্ষা’ আচারের ব্যবস্থা করেন। তাঁকে দেওয়া হয় রুদ্রাক্ষের মালা। গলায় পরার জন্য বিশেষ এক ধরনের মালাও পেয়েছেন তিনি। কানে কানে শোনানো হয়েছে বীজমন্ত্র। প্রকাশ পাণ্ডের নাম বদলে হয়েছে প্রকাশানন্দ গিরি। পিটিআইয়ে উল্লেখ, ওই দুই সন্ন্যাসী বেশধারীর সঙ্গে কৃষ্ণ কন্দপাল নামে আরও এক ব্যক্তি ছিলেন। প্রকাশ ও সন্ন্যাসী বেশধারীদের মধ্যে কথা বলার মাধ্যম হিসাবে ছিলেন তিনি।
ওই দুই সন্ন্যাসী বেশধারীর দাবি, তাঁরা পঞ্চ দশনম জুনা আখড়ার সঙ্গে যুক্ত। ওই প্রতিষ্ঠানের মূল কার্যালয় হরিদ্বারে। কুমায়ুন হিমালয় অঞ্চলের একাধিক জায়গায় তাঁদের আশ্রম রয়েছে। সংশোধনাগার থেকে বার হয়ে দুই সন্ন্যাসী বেশধারীকে নিয়ে আলমোড়ার এক হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলেন কন্দপাল। তিনি জানিয়েছেন, প্রকাশ আধ্যাত্মিকতার পথে যেতে চান।
আলমোড়া জেলের এই ঘটনায় বিতর্ক ছড়িয়েছে উত্তরাখণ্ডে। সন্ন্যাসীর বেশে যাঁরা সংশোধনাগারে প্রবেশ করেছিলেন, তাঁদের পরিচয় নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নৈনিতালের বিজেপি সাংসদের কথায়, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। সন্ন্যাসীদের বিষয়েও কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” উল্লেখ্য, যে প্রতিষ্ঠানের কথা দুই সন্ন্যাসী বেশধারী বলেছেন, সেই পঞ্চ দশনাম জুনা আখড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।