শ্রীনগরে বিক্ষোভের ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক

বিরোধের কেন্দ্রে বিক্ষোভের একটি ভিডিয়ো। বিবিসি-র তরফে দাবি করা হয়, রাজধানী শ্রীনগরে শুক্রবার হাজার হাজার লোকের বিক্ষোভের ভিডিয়ো ফুটেজ তাদের হাতে এসেছে, যদিও মোদী সরকারের দাবি, ওই রকম কোনও বিক্ষোভ হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০২:১০
Share:

নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।

নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সংবাদসংস্থা রয়টার্স এবং বিবিসিতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি সম্পর্কে ‘মিথ্যে’ সংবাদ দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা হল, এই দুই সংবাদ সংস্থার সাংবাদিকেরা এলাকা ঘুরে যে ছবি তুলে ধরেছেন, তা ‘সম্পূর্ণ স্বাভাবিক’ কাশ্মীরের নয়।

Advertisement

বিরোধের কেন্দ্রে বিক্ষোভের একটি ভিডিয়ো। বিবিসি-র তরফে দাবি করা হয়, রাজধানী শ্রীনগরে শুক্রবার হাজার হাজার লোকের বিক্ষোভের ভিডিয়ো ফুটেজ তাদের হাতে এসেছে, যদিও মোদী সরকারের দাবি, ওই রকম কোনও বিক্ষোভ হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, জুমার নমাজের জন্য কার্ফু কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যেই শ্রীনগরের ইদগা ময়দানের ওই বিক্ষোভে মানুষ জড়ো হয়ে যান। বিবিসির সংবাদদাতা রিয়াজ মাসরুর পাঠানো ভিডিয়োয় দেখা যায়, ওই বিক্ষোভে কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে স্লোগান উঠছে। মাসরুর জানাচ্ছেন, নিরাপত্তা বাহিনী মানুষকে জড়ো হতে বাধা দেয়নি। কিন্তু কিছু ক্ষণ পরে এক জায়গায় প্রথমে শূন্যে গুলি চালায় তারা, তার পরে ছররা গুলি ছোড়ে। ভিডিয়োয় শোনা গিয়েছে গুলি ছোড়ার শব্দ। তার পর মানুষ যে যে দিকে পারছেন পালাচ্ছেন, কেউ কেউ আবার মাটিতে শুয়ে পড়ছেন কিংবা হামাগুড়ি দিয়ে নিরাপদ জায়গার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক শনিবার টুইট করে জানায়, এই ভিডিয়ো সম্পূর্ণ ভুয়ো। শ্রীনগর, বারামুলায় কয়েকটি বিক্ষোভ হয়েছে, কিন্তু কোনওটাতেই জনা কুড়ির বেশি মানুষ ছিলেন না।

এ ছাড়া, দু’দিন ধরে উপত্যকা ঘুরে বিবিসি নিউজে এক সাংবাদিক দাবি করেছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। তবু তার মধ্যেই তিনি দেখেছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর দিকে পাল্টা তর্জনী উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বৃদ্ধ। কখনও বাচ্চা কোলে নিয়ে মধ্যবয়স্ক বলেছেন, ‘‘আমার বাচ্চা এখন ছোট, বড় হলে ওকে বন্দুক ধরতে শেখাব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement