Rajya Sabha

রেল প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক

যে শব্দটি ঘিরে বিতর্ক, তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপিকে ‘বাঙালি-বিরোধী’ হিসেবে দেখাতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু তা নয়।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৩:৪৫
Share:

সুরেশ অঙ্গদি। ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে রেল লাইনের দু’পাশে বসবাসকারীদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদির একটি মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হল রাজ্যসভা। শেষ পর্যন্ত বিরোধী সাংসদদের চাপে মন্তব্যটি সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না তৃ-ণমূল-সহ বিরোধীরা।

Advertisement

গত কাল রেল মন্ত্রক সংক্রান্ত আলোচনায় ছ’টি প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলের সব প্রকল্পে অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ এ নিয়ে রাজ্যসভায় জবাবি বক্তৃতায় রেল প্রতিমন্ত্রী সুরেশ অঙ্গদির সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয়। সুরেশ তাঁর বক্তব্যে জানান, পশ্চিমবঙ্গে প্রকল্প রূপায়িত করা যাচ্ছে না, কারণ সেখানে জমি অধিগ্রহণ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি যে মন্তব্য করেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আরজেডি-র মনোজ কুমার ঝা। শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। তাঁকে সমর্থন করেন কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডেরেক। হইচইয়ের মধ্যে কক্ষত্যাগ করে তৃণমূল। ডেরেকের বক্তব্য, যে হেতু প্রশ্নের কোনও উত্তর রেলমন্ত্রী দিলেন না, তাই প্রতিবাদে আমরা কক্ষত্যাগ করছি।’’

যে শব্দটি ঘিরে বিতর্ক, তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপিকে ‘বাঙালি-বিরোধী’ হিসেবে দেখাতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু তা নয়। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটেই তা প্রমাণ হয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভায় বিজেপি জিতলে তা ফের প্রমাণিত হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement