নয়া পোশাকে ভোলবদল রাজ্যসভায় মার্শালদের, শুরু বিতর্ক

রাজ্যসভার ২৫০তম অধিবেশনে মার্শালদের এই ভোলবদল দেখে সাংসদেরাই আজ চমকে গিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

পোশাক-বিতর্ক: মার্শালদের নতুন (উপরে) ও পুরনো (নীচে) পোশাক।

ছিল ধূসর গলাবন্ধ, মাথায় পাগড়ি। হয়ে গেল ‘নেভি ব্লু’ রঙের সেনার মতো পোশাক, মাথায় সামরিক বাহিনীর কর্তাদের মতোই ‘পিক ক্যাপ’। পোশাকের কাঁধে সেনার মতোই স্ট্রাইপস, বাঁ দিকে সোনালি দড়ি।

Advertisement

রাজ্যসভার ২৫০তম অধিবেশনে মার্শালদের এই ভোলবদল দেখে সাংসদেরাই আজ চমকে গিয়েছেন। সংসদের নিরাপত্তা পরিষেবার শীর্ষ অফিসারেরা রাজ্যসভার মার্শাল হিসেবে নিযুক্ত হন। চেয়ারম্যানের দু’পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে কাজকর্মে সাহায্য করেন। এত দিন তাঁরা গলাবন্ধ পরতেন। কিন্তু সভার সাধারণ কর্মীদের মতোই তাঁদের মাথাতেও বাহারি পাগড়ি থাকত। ফলে মার্শালদের রাজ্যসভার সাধারণ ‘ওয়াচ অ্যান্ড ওয়ার্ড’ কর্মীদের থেকে আলাদা করা মুশকিল হত। সে কারণেই পোশাকে বদল নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়। বিভিন্ন বিধানসভায় মার্শালরা কী রকম পোশাক পরেন, তা খতিয়ে দেখা হয়। ডাকা হয় ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন’-এর বিশেষজ্ঞদেরও।

মার্শালদের নতুন পোশাক দেখে কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘মার্শাল ল’ চালু হল নাকি?’’ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু তাঁকে থামিয়ে বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ দিনে এমন গুরুত্বহীন প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়।’’ কিন্তু প্রাক্তন সেনাপ্রধান বেদ মালিকের মন্তব্য, ‘‘অসামরিক ব্যক্তিদের সামরিক উর্দির নকল করে পোশাক পরা বেআইনি এবং নিরাপত্তার জন্য সমস্যাজনক। আমার আশা, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান, রাজ্যসভার সচিবালয় বিষয়টি দেখবেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সমীকরণ স্পষ্ট

সেনার প্রাক্তন ডিজিএমও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিনোদ ভাটিয়া বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনক হল, সামরিক বাহিনীর মতো সাজগোজ ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আশা করি, সরকার সংশোধনমূলক পদক্ষেপ করবে।’’ রাজ্যসভার এক কর্তার অবশ্য যুক্তি, ‘‘উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের মতো বহু রাজ্যে মার্শালেরা এমন পোশাক পরেন। রাজ্যসভার মার্শালদের নতুন পোশাকের নকশা ঠিক করার আগে সেগুলিও খতিয়ে দেখা হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement