—নিজস্ব চিত্র।
পাকুড়ের আদিবাসী মেলায় চুম্বন প্রতিযোগিতা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। বিক্ষোভ থেকে শুরু করে পোড়ানো হল আয়োজক বিধায়কের কুশপুতুলও। দাবি উঠল, বিধায়ককে ক্ষমা চাইতে হবে। বিতর্কের রেশ ছড়িয়ে পড়ে বিধানসভার অধিবেশনেও।
এই চুম্বন প্রতিযোগিতা আদিবাসীদের সংস্কৃতি-বিরোধী— এ অভিযোগে মঙ্গলবার পাকুড়ে বিক্ষোভ দেখায় প্রতিযোগিতার আয়োজক লিট্টিপাড়ার বিধায়ক সাইমন মারান্ডিরই নিজের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। সেই বিক্ষোভে যোগ দেয় বিজেপি-ও।
এ দিন পাকুড়ে সাইমন মারান্ডির কুশপুতুল দাহ করে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা সমর্থিত অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ও বিজেপি সমর্থিত কিষান মোর্চা। স্থানীয় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতাদের দাবি, সাইমন মারান্ডিকে দল থেকে বহিষ্কার করে গ্রেফতার করতে হবে। বিজেপি-র অভিযোগ, সহজ সরল আদিবাসীদের পুরষ্কার হিসাবে টাকার লোভ দেখিয়ে এই খেলার আয়োজন করেছেন বিধায়ক। সে জন্য সাইমনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
আরও পড়ুন
গুজরাতেই সভাপতির প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন, নিশানায় মোদী
মিনারেল ওয়াটারের বেশি দাম নিচ্ছে হোটেল? হতে পারে জরিমানা
‘ব্লু হোয়েল-এ আটকে কংগ্রেস, ১৮ তারিখই তার শেষ পর্ব’
এই বিতর্কের আঁচ পড়ে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের শেষেও। এ দিন ছিল ঝাড়খণ্ড বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পূর্ব সিংভূম জেলার বেহেরাগোড়ার বিধায়ক কুণাল সারেঙ্গি বিধানসভার অধিবেশনের শেষে সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে তাদের দল বৈঠক বসছে। তবে এ সব বিতর্কের মধ্যেও এই প্রতিযোগিতার সমর্থন করেছেন বিধায়ক সাইমন মারান্ডি। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের সমর্থনে নিজের যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। সাইমন বলেন, ‘‘আদিবাসী সমাজে একাধিক বিয়ের প্রবণতা রয়েছে। একাধিক বিয়ে নয়, এক বারই বিয়ে করো এবং স্ত্রীকে গভীর ভাবে ভালবাস— এই বার্তা ছড়াতেই এই চুম্বন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।’’
পাকুড়ের লিট্টিপাড়ার ডুমুরিয়া গ্রামে আদিবাসীদের সিধু কানু মেলায় রবিবার রাতে নানা ধরনের খেলার সঙ্গে ছিল চুম্বন প্রতিযোগিতাও। বেশ কয়েক জন আদিবাসী প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তার পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। যা এ দিন পরিণত হয় বিক্ষোভে।