মেট্রো রেল বিশেষজ্ঞ ই শ্রীধরন। ছবি: পিটিআই।
‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরন যদি ৮৮ বছর বয়সে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন, তা হলে লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলীমনোহর জোশীরা কী দোষ করলেন!
দলের অন্দরমহলে এই প্রশ্ন ওঠার পরেই বিজেপি নেতৃত্ব পিছু হঠলেন। বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতারা জানিয়েছিলেন, মেট্রো রেল বিশেষজ্ঞ ই শ্রীধরনই কেরলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন। শুক্রবার সেই নেতারাই জানালেন, দলীয় নেতৃত্ব এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেননি!
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের অন্দরে শ্রীধরনের বয়স এবং রাজ্যের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় বিতর্ক বেঁধেছে। নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটি বিজেপির হাল ধরার পরেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে কেউ ভোটে লড়বেন না। আডবাণী-জোশীদের মার্গদর্শক মণ্ডলীতে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। এ বার বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী এ নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পঁচাত্তর-ঊর্ধ্ব বয়স্ক নেতাদের বনবাসের মতো মার্গদর্শক মণ্ডলীতে পাঠানোটা কি আসলে সুবিধা মতো গল্প ছিল? তা হলে আমার সুপারিশ, আডবাণী, জোশী, শান্তা কুমারদের ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে প্রার্থী করা হোক।’’
দলের মধ্যে এই বিতর্কের পরেই কেরলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন জানিয়ে দেন, শ্রীধরনকে নিয়ে কোনও ঘোষণা হয়নি। রাজ্য থেকে মোদী সরকারের মন্ত্রী ভি মুরলীধরনও জানিয়ে দেন, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার অসম, পশ্চিমবঙ্গের প্রার্থীতালিকা নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক হয়েছিল। বিজেপি সূত্রের খবর, তামিলনাড়ু, কেরল ও পুদুচেরির প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করার ভার বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডাকেই দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল কেরলের ১৪০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। কেরলে বিজেপির মাত্র একজন বিধায়ক রয়েছে। দিল্লির মেট্রো থেকে তামিলনাড়ুর পাম্বান সেতুর উন্নয়নের জন্য বিখ্যাত শ্রীধরন নিজেই কিছু দিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন।
রাজ্য বিজেপির একটা বড় অংশেরও মত, শ্রীধরন বুড়ো হাড়ে ভেলকি দেখাতে পারেন। সে কারণেই তাঁর নাম আগেভাগে ঘোষণা করে ফেলেছিলেন নেতারা। কিন্তু বিতর্কের মুখে পিছু হটতে হল তাঁদের। অন্তত আপাতত।