প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে অসম পর্যটনের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ করতে গিয়ে রাজ্যের ভাঁড়ার থেকে বেরোতে চলেছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা। অর্থ তথা পর্যটনমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা এই তথ্য জানানোর পরে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। অনেকেরই মতে, রক্ষণাবেক্ষণের রাজ্য যেখানে সরকারি অতিথিশালা লিজ দিচ্ছে, অর্থাভাবে বিভিন্ন পর্যটনস্থলে পরিকাঠামো গড়া যাচ্ছে না, সেখানে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরের পিছনে ১০০ কোটি টাকা খরচ করার কী যুক্তি!
গত বছর প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে অসম সরকারের দু’বছরের চুক্তি হয়। কিন্তু নমামি ব্রহ্মপুত্র উৎসবে পর্যটন-দূতের অনুপস্থিতি সকলেরই চোখে পড়ে। মন্ত্রী জানান, প্রিয়ঙ্কার পারিশ্রমিক, বিজ্ঞাপনী ছবি তৈরি ইত্যাদি মিলিয়ে খরচ ১০০ কোটি টাকা। হিমন্ত বলেন, ডিসেম্বরে প্রথম বারের অসম সফরেই প্রিয়ঙ্কার জন্য দু’কোটি ৩৭ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে চুক্তি সই করতে প্রিয়ঙ্কা নিয়েছেন এক কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। প্রিয়ঙ্কাকে এত খরচ করে পর্যটনের দূত করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আপত্তি উঠেছে।
অভিনেত্রী নিশিতা গোস্বামী বলেন, “রাজ্যে শিল্পীদের দেওয়ার টাকা নেই। ‘জুনিয়ার আর্টিস্ট’রা ধুঁকছেন। পর্যটনের ভাল পরিকাঠামো নেই। এই অবস্থায় বাইরে থেকে দূত নিয়োগ না করে রাজ্যের খ্যাতনামা প্রতিভাকে ওই দায়িত্ব দিলে যুক্তিসঙ্গত হতো।” অভিনেত্রী বর্ষারানি বিষয়ার মতে, “অসমের পর্যটনের দূতের দায়িত্ব যখন প্রিয়ঙ্কা নিয়েছেন তখন নিজের ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম-সহ সব প্রোফাইলে অসমকে তুলে ধরবেন তিনি।” বিরোধী দলগুলির মতে, রাজ্য যে টাকা প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার জন্য খরচ করছে, তার অর্ধেক টাকায় পর্যটন পরিকাঠামোর উন্নয়ন হতো।