ফাইল চিত্র।
করোনার ভরা বাজারে রামায়ণ থেকে নেতৃত্বের শিক্ষা! তা-ও জেএনইউয়ে! প্রতিবাদী পড়ুয়ার কটাক্ষ, এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার দেওয়ার বহু বিষয় রয়েছে। তাই একে স্রেফ অগ্রাহ্য করার সিদ্ধান্ত। বিষয়টি আদতে ঘুরপথে হিন্দুত্ব প্রচারের চেষ্টা কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
করোনার জেরে যখন ক্লাসরুম তালাবন্দি, তখন ইন্টারনেটে ভাসানো পোস্টারে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২ এবং ৩ মে অনলাইনে নেতৃত্বের শিক্ষা নেওয়া যাবে রামায়ণ থেকে। ‘লিডারশিপ লেসনস্ ফ্রম রামায়ণ’। পরিবেশনায় রামায়ণ স্কুল। এমনিতে সাহিত্য, মহাকাব্যের চরিত্র থেকে নেতৃত্বের গুণ আহরণের চেষ্টা নতুন নয়। চড়া দক্ষিণায় কর্মশালা আয়োজন করেন বিশেষজ্ঞেরা।
কিন্তু তা-ও এই উদ্যোগে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এক প্রতিবাদী পড়ুয়ার কথায়, “করোনার এই সঙ্কটের সময়ে পড়ুয়ারা খেতে পাচ্ছেন কি না, ফেলোশিপের টাকা হাতে পৌঁছচ্ছে কি না, এমনকি সাফাইকর্মীরা বেতন পাচ্ছেন কি না, এ সব নিয়ে উপাচার্যের মাথাব্যথা নেই। অথচ রামায়ণ থেকে নেতৃত্ব শিক্ষা নিয়ে তিনি টুইটে ব্যস্ত।”
আর এক পড়ুয়ার প্রশ্ন, “বাম দুর্গ জেএনইউয়ে রাম-নাম ধরে হিন্দুত্ব ঢোকাতে বহু দিন ধরে সচেষ্ট অনেকে। রামায়ণ নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু এর পরে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় অন্য ধর্মের ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের আয়োজন করলে, সরকার মানবে তো?”