বালুচিস্তানে জন্ম সর্বপল্লির, শিক্ষকের জবাবে বিতর্ক

সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্ম নাকি বালুচিস্তানে— শিক্ষক দিবসে সংবর্ধনাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একাংশের এমন জবাব নিয়ে চর্চা ছড়াল করিমগঞ্জে। সংবর্ধনা নেওয়ার পর তাঁদেরই কয়েক জন জানালেন, এ বার রাধাকৃষ্ণণের ৫৫-তম জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। কয়েক জন আবার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার সময় জুতো খুলতেও ভুললেন!

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৪
Share:

সংবর্ধনার পর করিমগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোমবার জেলা গ্রন্থাগারে। ছবি: উত্তম মুহরী

সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্ম নাকি বালুচিস্তানে— শিক্ষক দিবসে সংবর্ধনাপ্রাপ্ত শিক্ষকদের একাংশের এমন জবাব নিয়ে চর্চা ছড়াল করিমগঞ্জে। সংবর্ধনা নেওয়ার পর তাঁদেরই কয়েক জন জানালেন, এ বার রাধাকৃষ্ণণের ৫৫-তম জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। কয়েক জন আবার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করার সময় জুতো খুলতেও ভুললেন!

Advertisement

করিমগঞ্জে আজ ৫৫-তম শিক্ষক দিবসে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শিক্ষা বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক প্রশান্ত কুমার মহন্ত, শিক্ষা বিভাগের পরিদর্শক টি শইকিয়া, সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস, প্রবীণ শিক্ষক কামালুদ্দিন আহমেদ, রামেন্দ্র ভট্টাচার্য। ওই অনুষ্ঠানে জেলার কয়েক জন শিক্ষককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের কয়েক জনকে সাংবাদিকরা রাধাকৃষ্ণণের জন্মস্থানের কথা জানতে চান। তাতেই হয় বিপত্তি। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত জনাকয়েক শিক্ষক প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির জন্মস্থান হিসেবে বালুচিস্তানকে চিহ্নিত করেন। কয়েক জন জানান, এ বার তাঁর ৫৫-তম জন্মদিবস পালন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য ১৮৮৮ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ-তামিলনাড়ু সীমানায় তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির থিরুত্তানির একটি গ্রামে জন্ম হয়েছিল রাধাকৃষ্ণণের।

করিমগঞ্জে এ দিন ২৩ জন শিক্ষককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জেলার শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, সংবর্ধনার জন্য শিক্ষকদের নামের তালিকা শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে করা হয়। ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অনেকের নামই তা-ই ওই তালিকায় থাকে। বঞ্চিত হন সংবর্ধনার আসল দাবিদাররা।

Advertisement

শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয় বরাকের অন্য প্রান্তেও।

ডিমা হাসাওয়েও ২২ জন শিক্ষককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তা ছাড়া অসম মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ৮ জন শিক্ষককে পুরস্কৃত করা হয়। হাফলং জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে ওই অনুষ্ঠানে সবার হাতে শংসাপত্র তুলে দেন উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইএম প্রকান্ত ওয়ারিশা, জেলাশাসক অমরেন্দ্র বরুয়া ও স্কুল পরিদর্শক গায়েত্রী নাইডিং। এ বার ডিমা হাসাওয়ে সেরা স্কুলের সন্মান পেয়েছে হাফলং ডন বসকো উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হারাঙ্গাজাও পাবলিক ইংরেজি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এ দিন হাইলাকান্দির মহিলা কলেজে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে সামিল ছিলেন শিক্ষাবিদ বিজয়কুমার ধর, বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতীশ ভট্টাচার্য, হাইলাকান্দি জুনিয়র মহিলা বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হুসেন চৌধুরী, পাবলিক উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সিরাজুল হক মাজারভুঁইঞা, হাইস্কুল শিক্ষক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আলি মাজারভুঁইঞা উপস্থিত ছিলেন। হাইলাকান্দির অতিরিক্ত জেলাশাসক রুথ লিয়াংথাং তার সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন ডি হাতিবড়ুয়া, ইকবাল হুসেন, পার্থ চক্রবর্তী, কমরুল ইসলাম বড়ভুঁইঞা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement