আদালত অবমাননার আইনকে চ্যালেঞ্জ সুপ্রিম কোর্টে।
ভারতীয় সংবিধান বাক্স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু আদালত অবমাননা আইন সেই মৌলিক অধিকারকেই আঘাত করে। এই দাবি তুলে আদালত অবমাননা আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে এ বার মামলা দায়ের হল। ১৯৭১-এ তৈরি হওয়া ওই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক এন রাম, আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি। তাঁদের দাবি, এই আইন অসাংবিধানিক, কেন না এটা সংবিধানের মূল ভিত্তির পরিপন্থী। তাঁরা ওই আইন বাতিলের পক্ষেই সওয়াল করেছেন।
ভারতীয় সংবিধানের ১৯ থেকে ২২ নম্বর অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের মধ্যে ৬ ধরনের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার। আবেদনকারীরা শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছেন, আদালতের সমালোচনাকে অপরাধ বলে দাগিয়ে দেওয়া হলে তা রাজনীতি এবং সাধারণ মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে ওঠে। কাজেই আবেদনকারীদের দাবি, ওই আইনকে বাতিল করা হোক।
বিচারবিভাগকে জড়িয়ে সম্প্রতি টুইটারে ‘বিরূপ’ মন্তব্য করায় আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত হন আইনজীবী প্রশান্তভূষণ। সে প্রসঙ্গে বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, প্রশান্তভূষণের মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের মতো প্রতিষ্ঠান এবং দেশের প্রধান বিচারপতির মর্যাদা এবং কর্তৃত্ব খাটো করার চেষ্টা করেছে। প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। ওই মন্তব্য কেন মুছে ফেলা হয়নি, তা জানাতে তলব করা হয় টুইটারের প্রতিনিধিকেও। সে মামলার শুনানি আগামী ৪ অগস্ট। যে আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, এ বার সেই আইনকেই চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গেলেন প্রশান্ত।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত বেড়ে ৫৭ হাজার, ফের দশ শতাংশ ছাড়াল সংক্রমণ হার
একই রকম ভাবে অতীতে সাংবাদিক এন রাম এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরির বিরুদ্ধেও আদালত অবমাননার মামলা হয়। তাঁরাও তাই এই মামলায় প্রশান্তের পাশে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ফুসফুস থেকে হার্ট...জটিল কোভিডে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী কী কী ক্ষতি হতে পারে