Container Ship

চট্টগ্রাম হয়ে উত্তরপূর্বে পণ্য, ‘বন্ধুত্বের জয়’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২০ ০৭:৩৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

কলকাতা থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে উত্তরপূর্বে পণ্য পরিবহণ শুরু হওয়াকে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক নতুন মাত্রা পেল বলে মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক। ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার পরে বৃহস্পতিবার কলকাতা বন্দর থেকে ত্রিপুরার দু’টি এবং অসমের দু’টি কন্টেনার নিয়ে রওনা হয়েছে বাংলাদেশের জাহাজ এম ভি সেঁজুতি। শুক্রবার হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের নানা সংস্থার আরও ১০৪টি কন্টেনার তোলা হয়েছে জাহাজটিতে। বন্দর সূত্রে খবর, সোমবার নাগাদ জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছনোর পরে আগরতলা ও অসমের করিমগঞ্জের কন্টেনারগুলি ট্রাকে করে আখাউড়া বন্দরের দিকে রওনা হবে। আগরতলার দু’টি কন্টেনারে ঢালাইয়ের রড এবং করিমগঞ্জের দুটিতে ডাল রয়েছে।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে বলা হচ্ছে, পরীক্ষামূলক ভাবে এই পণ্য পরিবহণ লাভজনক (ভায়াবল) হলে উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি তো ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেই, মাসুল ও পণ্যের ভাড়া থেকে মোটা আয় হবে বাংলাদেশেরও। বেশ কিছু কর্মসংস্থানও হবে সে দেশে। উত্তরপূর্বের সঙ্গে রেল যোগাযোগ থাকলেও বর্ষার সময়ে ধস নেমে প্রায়ই তা বন্ধ হয়ে পড়ে। ত্রিপুরা, অসম, নাগাল্যান্ড বা মণিপুরে তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জলপথে এক সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব। খরচও তুলনায় কম। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই পথে অবাধ পণ্য পরিবহণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, শুল্ক দফতর এবং চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ভারতীয় হাই কমিশনের কর্তারা।

পাঁচ বছর আগে দু’দেশের মধ্যে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার নিয়ে একটি বোঝাপড়া হলেও চুক্তি স্বাক্ষর হয় গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে। তার পরে এই লকডাউনের মধ্যেও পরীক্ষামূলক ভাবে পণ্য পরিবহণ যে চালু করা গেল, তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারা। এক কর্তার বক্তব্য, বহু বাধা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত বন্ধুত্বেরই জয় হল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement