—প্রতীকী ছবি।
সম্পর্ক বিয়ে অবধি না গড়ালে এবং সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হলে তাকে ধর্ষণ বলা যায় না। একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ ওড়িশা হাই কোর্টের।
সম্প্রতি ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন এক মহিলা। ওই মহিলার বক্তব্য ছিল, অভিযুক্তের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকার সময় একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও পরে মতপার্থক্যের কারণে তা ভেস্তে যায় বলেও জানান ওই মহিলা। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি আর কে পট্টনায়কের একক বেঞ্চ বলে, “মিথ্যা প্রতিশ্রতি দিয়ে সহবাস আর সহমতের ভিত্তিতে সহবাসের পর কোনও কারণে বিয়ে না হওয়ার ঘটনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।” এই প্রসঙ্গে আদালত জানায়, একটি নষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পর্ক, যা ভাল বন্ধুত্বের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল, সেখানে বিশ্বাসের অভাব দেখা দিলে পুরুষ সদস্যটিকে ‘ধর্ষক’ বলা যায় না।
কিছু দিন আগে এই সংক্রান্ত একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, দুই ব্যক্তির মধ্যে যদি শারীরিক সম্পর্ক থাকে এবং তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও, পরে যদি তা না হয়, তবে প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগে কোনও এক জন সঙ্গীকে ‘ধর্ষক’ বলা যাবে না।