প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। ফাইল চিত্র।
সামাজিক ন্যায়কে কংগ্রেস আগামী লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক অস্ত্র করতে চাইছে। রবিবার রাহুল গান্ধী কর্নাটকে কোলারে দাঁড়িয়ে জাতগণনার দাবি তুলেছিলেন। আজ সেই দাবি জানিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। তাঁর দাবি, ২০২১-এর নির্ধারিত জনগণনা এখনও হয়নি। তার সঙ্গেই জাতগণনা করা হোক। জাতগণনা ছাড়া সামাজিক ন্যায় সম্ভব নয়। ২০১১-য় ইউপিএ সরকার যে জাতগণনা করেছিল, মোদী সরকার তার রিপোর্টও প্রকাশ করেনি।
২০১৯-এ কর্নাটকের কোলারেও ‘সব চোরেদের পদবি মোদী কেন’ মন্তব্য করার মানহানির অপরাধে সাজা হওয়ায় রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তার পরে রাহুল ওবিসি-দের অপমান করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী নিজেও ওবিসি। মোদী জমানায় বিজেপি ওবিসি ভোটব্যাঙ্কের সিংহ ভাগই নিজের পকেটে পুরেছে। রাহুল তারই জবাবে কোলারে ‘জিতনি আবাদি, উতনা হক’ বা যার যত সংখ্যা, সংরক্ষণে তার তত অধিকার বলে স্লোগান তোলেন। তিনি দাবি তোলেন, ২০১১-র জাতগণনার রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক। ওবিসি-দের সংখ্যা কত, তা বলা হোক। সংরক্ষণে ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা সরানো হোক। দলিত, আদিবাসীদের জনসংখ্যায় হার অনুযায়ী সংরক্ষণ দেওয়া হোক। খড়্গের চিঠির পরে কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে কানহাইয়া কুমার সাংবাদিক সম্মেলন করে একই দাবি তোলেন।
কংগ্রেসের অঙ্ক হল, ওবিসি-দের জন্য ২৭% আসন সংরক্ষিত থাকলেও আসলে জনসংখ্যায় তাদের হার অনেক বেশি। আসল সংখ্যা প্রকাশ্যে এলে আরও সংরক্ষণের দাবি উঠবে। তাতে উচ্চবর্ণ বা জেনারেল ক্যাটেগরি ও ওবিসি, দু’দিক থেকেই চাপে পড়বে বিজেপি। জেডিইউ, আরজেডি-র পাশাপাশি এসপি-ও এই প্রশ্নে কংগ্রেসের পাশে থাকবে। বস্তুত ইউপিএ আমলে বামেরা সমর্থন প্রত্যাহারের পরে এসপি, আরজেডি-র চাপেই ইউপিএ সরকার জাতগণনা করিয়েছিল।