ফাইল চিত্র।
তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডে কংগ্রেসে থাকলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন। বিজেপিতে গিয়ে তাঁকে পিছনের বেঞ্চে বসে থাকতে হবে।
মোদী সরকার এ বার জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডেকে বিমানমন্ত্রীর পদে বসানোয় কংগ্রেসের অন্দরমহলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, গ্বালিয়রের মহারাজের উড়ান দেখে কংগ্রেসের অন্য তরুণ নেতারাও বিজেপিতে উড়ানের নতুন উৎসাহ পাবেন না তো?
আশঙ্কার কারণ হল, শিন্ডের বন্ধু, রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট। শিন্ডের দলত্যাগের পরেই সচিন রাজস্থানে বিদ্রোহ করেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি কংগ্রেসেই থেকে যান। শিন্ডে মন্ত্রী হতেই সচিন নতুন করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। তাঁর বক্তব্য, যাঁরা রাজস্থানে কংগ্রেস বিরোধী আসনে থাকার সময় দলের জন্য খেটেছেন, তাঁদের যোগ্য সম্মান পাওয়া উচিত। রাজস্থানে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করে পাইলট তাঁর অনুগামীদের মন্ত্রী করার দাবি তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, সনিয়া গাঁধী গোটা বিষয়ে অবহিত। সচিনের এই নতুন করে ক্ষোভ প্রকাশের পরে প্রশ্ন উঠেছে, শিন্ডেয় বিমানে কি পাইলট সঙ্গী হবেন!
রাজস্থানের সচিন পাইলট, পঞ্জাবের নভজ্যোত সিংহ সিধু যাতে শিন্ডেকে দেখে দল না-ছাড়েন, তার জন্য কংগ্রেস সক্রিয় হয়েছে। রাজস্থানের হাল সামলাতে অজয় মাকেন সক্রিয় হয়েছেন। পঞ্জাবে মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে সিধুর বিবাদের সমাধানসূত্র হিসেবে, সিধুকে বিধানসভা ভোটের প্রচার কমিটির প্রধান করা হতে পারে। সিধু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ চাইছিলেন। ওই পদে দলিত নেতা লাল সিংহকে বসানো হতে পারে।
তিন দশক আগে জ্যোতিরাদিত্য শিন্ডের বাবা মাধবরাও-ও বিমানমন্ত্রী ছিলেন। সেই স্মৃতি হাতড়ে আজ মাধবরাওয়ের বোন, বিজেপি নেত্রী যশোধরা রাজে শিন্ডে বলেছেন, যে পদে দাদা উড়ান নিয়েছিলেন, সেই পদেই এখন জ্যোতিরাদিত্য। কিন্তু জ্যোতিরাদিত্য বিমান মন্ত্রক পেলেও আসলে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক জুটল কি না, সে প্রশ্ন উঠছে। কারণ বিমান মন্ত্রকের সামনে এখন প্রধান কাজ দেনা জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি ও বিমানবন্দরের বেসরকারিকরণ।