’৭১-এর যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ফাইল চিত্র।
জাতীয়তাবাদের লড়াইয়ে বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিতে কংগ্রেস এ বার বাংলাদেশ যুদ্ধকে হাতিয়ার করতে চাইছে। মোদী সরকার ইতিমধ্যেই ১৯৭১-এর বাংলাদেশ যুদ্ধের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন শুরু করে দিয়েছে। ইন্দিরা গাঁধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকারই যে ১৯৭১-এর যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল, তা মনে করিয়ে দিয়ে কংগ্রেসও মাঠে নেমে পড়ল। আজ কংগ্রেস প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের কমিটি তৈরি করেছে। এই কমিটি’ ১৯৭১-এর যুদ্ধের ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপনে কংগ্রেসের কর্মসূচির পরিকল্পনা ও তার সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবে। অ্যান্টনির সঙ্গে কমিটিতে রয়েছেন ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময়ে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাবু জগজীবন রামের কন্যা মীরা কুমার।
কংগ্রেসের উদ্দেশ্য হল, মোদী জমানায় দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে, এই প্রশ্ন তুলে তুলে ১৯৭১-এর যুদ্ধকে কংগ্রেসের সাফল্য হিসেবে দেখানো। কংগ্রেস নেতারা বারবারই বলছেন, ইন্দিরার জমানায় ভারত পাকিস্তানকে ভেঙে দু’টুকরো করে দিয়েছিল। এখন মোদী জমানায় চিন ভারতের জমি দখল করে বসে রয়েছে।
১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনা ভারতের সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। কেন্দ্র এই উপলক্ষে ‘স্বর্ণিম বিজয় বর্ষ’ পালনের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে জাতীয় ওয়ার মেমোরিয়ালে গিয়ে ‘স্বর্ণিম বিজয় মশাল’ জ্বালিয়েছেন। ঠিক হয়েছে, ওই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য যে সব সেনা অফিসাররা পরমবীর চক্র ও মহাবীর চক্র পেয়েছিলেন, তাঁদের শহরে ও গ্রামে পৌঁছতে দিল্লি থেকে চারটি বিজয় মশাল রওনা হবে। সেই গ্রামের মাটি দিল্লির ওয়ার মেমোরিয়ালে নিয়ে আসা হবে।
ওই দিনই কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী কটাক্ষ করেছিলেন, ‘‘ওই সময়ে ভারতের প্রতিবেশীরা এ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা করতেন। ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত লঙ্ঘন করতে ভয় পেতেন।’’ রাহুলের ইঙ্গিত ছিল লাদাখে চিনের জমি দখল নিয়ে। আজ কংগ্রেস জানিয়েছে, দু’দেশের সম্পর্কের প্রতীক ১৯৭১-এর যুদ্ধকে স্মরণ করতেই কমিটি তৈরি হয়েছে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ, মেজর বেদ প্রকাশ, ক্যাপ্টেন প্রবীণ দাভারের মতো প্রাক্তন ফৌজিদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠাও কমিটিতে রয়েছেন।