প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা
উত্তরপ্রদেশে ২০২২-এর বিধানসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে সে রাজ্যের সংগঠন ঢেলে সাজাতে চাইছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও খুব শীঘ্রই প্রিয়ঙ্কাকে এআইসিসি-তে গোটা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিতে চাইছেন। গত সপ্তাহে রাজ্য কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবারও রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এর আগে জেলা ধরে ধরে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন প্রিয়ঙ্কা।
লোকসভা ভোটের ঠিক আগে প্রিয়ঙ্কাকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে দেওয়া হয় পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব। জ্যোতিরাদিত্য এখন মধ্যপ্রদেশে দলের সভাপতি হতে চাইছেন। আজ গ্বালিয়রে তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের সভাপতি কে হবেন, তা কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী ঠিক করবেন। সেই সিদ্ধান্তই সকলে মেনে নেবে।’’ কিন্তু সভাপতি হতে না পারলে জ্যোতিরাদিত্যর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
প্রিয়ঙ্কা-জ্যোতিরাদিত্য জুটি অবশ্য লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে একমাত্র সনিয়ার রায়বরেলী ছাড়া আর কোনও আসনে কংগ্রেসকে জিতিয়ে আনতে পারেনি। রাহুল গাঁধী লোকসভা ভোটের আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, কংগ্রেসের আসল লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। সেখানে যে প্রিয়ঙ্কাকে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে তুলে ধরা হবে, সেই ইঙ্গিতও মিলেছিল।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কাকে গোটা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দেওয়ার পরেই রাজ বব্বরের জায়গায় নতুন রাজ্য সভাপতি ঘোষণা করা হবে। অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের নিয়ে বহরে ছোট মাপের একটি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিই ২০২২ পর্যন্ত কাজ করবে।
উত্তরপ্রদেশের আগে অবশ্য সামনে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট কংগ্রেসকে চিন্তায় ফেলেছে। হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডা কার্যত দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজের ৩৩ জন অনুগামীকে নিয়ে কমিটি গড়ে ফেলেছেন। সেখানে রাজ্য সভাপতি পদ নিয়েও বিবাদ চলছে। দল ছাড়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে আজ হুডা দিল্লিতেই তাঁর অনুগামীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। যদিও সূত্রের খবর, তাঁর অনুগামীদের অনেকেই পরামর্শ দিয়েছেন, ভোটের কয়েক মাস আগে নতুন দল গঠন করে বিশেষ লাভ হবে না। তার বদলে শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে দর কষাকষি করলে লাভ। বর্তমান সভাপতি অশোক তনওয়ার আজ জানিয়ে দিয়েছেন, হুডার এই কমিটির কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। আজ দিল্লির বিক্ষুব্ধ আপ বিধায়ক অলকা লাম্বা সনিয়ার সঙ্গে দেখা করে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।