Congress

Congress: ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা এগিয়ে আনল কংগ্রেস

গত লোকসভা নির্বাচন থেকে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, তাতে প্রলেপ দিয়ে দলকে চাঙ্গা করতে রাস্তায় নামছে কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২২ ০৮:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

চলতি বছরে গুজরাত এবং হিমাচলে বিধানসভা নির্বাচন। বছর ঘুরতেই রাজস্থান, কর্নাটক-সহ একাধিক রাজ্যে ভোট। আর এই সব নির্বাচন চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে জনমত পরীক্ষা। গত লোকসভা নির্বাচন থেকে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, তাতে প্রলেপ দিয়ে দলকে চাঙ্গা করতে রাস্তায় নামছে কংগ্রেস। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত-জোড়ো যাত্রার ডাক দিল কংগ্রেস।

Advertisement

কথা ছিল, ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে শুরু হবে এই যাত্রা। কিন্তু আর বিলম্ব চাইছেন না কংগ্রেস নেতৃত্ব। কন্যাকুমারী থেকে শুরু করে কাশ্মীর পর্যন্ত চলবে এই যাত্রা। তাতে রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। দেড়শো দিনের এই প্রস্তাবিত যাত্রা ৩৫০০ কিলোমিটার এবং ১২টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাবে।

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আজ বলেন, “৮০ বছর আগে এই দিনে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। আর তার ঠিক পাঁচ বছর পর ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।” তাঁর টুইট, “আপনাদের কি মনে হয় মহাত্মার ভারত ছাড়ো আন্দোলন সূচনার দিনটিতে আরএসএস কী করছিল? তারা এই গণআন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখে। যখন গান্ধী, নেহরু, পটেল, আজাদ, প্রসাদ এবং আরও অনেকে কারাবরণ করেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ধারে কাছে ছিলেন না।” তাঁর কথায়, “যাঁরা ঘৃণা, দ্বেষ আর ধর্মের রাজনীতির বিকল্প খুঁজছেন, দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব এবং বেহাল অর্থনীতি, বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাইছেন তাঁদের সবাইকে ভারত জোড়ো যাত্রায় শামিল নিতে অনুরোধ করছি।”

Advertisement

প্রিয়ঙ্কা বঢরার টুইট, “আজকের দিনেই ভারত ছাড়ো আন্দোলনের হুঙ্কারের সঙ্গে একজোট হয়ে ভারতবাসী নিষ্ঠুর ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিল। এই একজোট হওয়ার ক্ষমতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। বিবিধের মাঝে একতার পতাকা তুলে ধরে ভারত জোড়ো নতুন উন্নয়নের সংকল্প তৈরি করবে।”

রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদী মুর্মুকে নির্বাচিত করে দেশের অবহেলিত অংশকে বার্তা দিতে চেয়েছে মোদী সরকার। আজ বিশ্ব জনজাতি দিবসে রাহুল গান্ধীর টুইট, “কংগ্রেস বরাবর জল, জঙ্গল এবং জমির উপর জনজাতিদের অধিকার নিয়ে লড়াই করে গিয়েছে। হাম দো হামারে দো-র সুবিধা আদায়ের জন্য তাদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বিশ্ব জনজাতি দিবসে শপথ নিচ্ছি, তাঁদের ন্যায়বিচারের জন্য শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement