—প্রতীকী ছবি।
বারো থেকে কমিয়ে কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে দশটি আসন চেয়ে তৃণমূলের সঙ্গে দর কষাকষিতে নামছে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই দশটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে থাকা দু’টি লোকসভা কেন্দ্র বাদে বাকি আটটিই গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জেতা আসন। ফলে তৃণমূলের জয়ের ভাগ থেকে কংগ্রেস কিছুই চাইছে না।
তৃণমূল অবশ্য ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জেতা দু’টি আসনের বেশি আসন ছাড়া যাবে না বলে অনড় রয়েছে এখনও। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, দুই দলে নেতৃত্বের বিভিন্ন স্তরে কথা বলা হবে। খুব শীঘ্রই আসন সমঝোতা নিয়ে ফয়সালা হবে। কেন কংগ্রেস আটটি আসন চাইছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে যুক্তি দেওয়া হবে। তৃণমূল যদি বলে, কংগ্রেসকে জেতা দু’টি আসন ছাড়া হবে, তা হলে কংগ্রেসও বলতে পারে, তৃণমূল ২০১৯-এ ২২টি আসনে জিতেছিল। বিজেপির ১৮টি জেতা আসন নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, আসন সমঝোতার ক্ষেত্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নিত্যদিন তৃণমূলকে নিশানা করাটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলেই কংগ্রেসের দাবি। এআইসিসি-র এক নেতা বলেন, ‘‘অধীরকে তো নিজের ভোটারদের দিকটিও দেখতে হবে।’’
রবিবার কংগ্রেসের জাতীয় জোট কমিটি আরজেডি-র সঙ্গে বিহারে আসন সমঝোতা নিয়ে কথা বলেছিল। সোমবার ওই কমিটি আম আদমি পার্টির অতিশী সিংহ, সৌরভ ভরদ্বাজ, সন্দীপ পাঠকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। অরবিন্দ কেজরীওয়াল কংগ্রেসকে দিল্লিতে ৭টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩টি, পঞ্জাবে ১৩টির মধ্যে ৬টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছেন। তার বদলে তিনি গুজরাতে একটি, গোয়ায় একটি, হরিয়ানায় তিনটি আসন চান। দু’দলের নেতারা জানিয়েছেন, ফের বৈঠক হবে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ও শরদ পওয়ারের এনসিপি-র মধ্যে আলোচনা হবে।