ছবি: পিটিআই
মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাস্তায় নামায় কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন খোদ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। যা দেখে কংগ্রেস হাইকমান্ড মনে করছে, মোদী সরকারের কাছে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্নের কোনও জবাব নেই। তাই আরও চাপ বাড়াতে দিল্লির রাস্তায় বিক্ষোভের পর কংগ্রেস এ বার রামলীলা ময়দানে জনসভার আয়োজন করতে চলেছে।
আজ কংগ্রেস জানিয়েছে, আগামী ২৮ অগস্ট দিল্লির রামলীলা ময়দানে ‘মেহঙ্গাই পর হল্লা বোল’ জনসভা হবে। যাতে রাহুল গান্ধী থেকে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা মোদী সরকারের কাছে কৈফিয়ৎ চাইবেন। তার প্রস্তুতিতে স্বাধীনতা দিবসের পরেই, ১৭ অগস্ট থেকে ২৩ অগস্ট বিভিন্ন পাইকারি বাজার, আনাজের বাজার, খুচরো বাজারে কংগ্রেস ‘মেহঙ্গাই চৌপাল’ নামে ছোট ছোট জনসভা করবে। প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিগুলিও রামলীলা ময়দানের জনসভার জন্য ‘চলো দিল্লি’-র ডাক দিয়ে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে প্রচারে নামবে।
গত ৫ অগস্ট রাহুল-প্রিয়ঙ্কার নেতৃত্বে কংগ্রেস কালো পোশাকে দিল্লি-সহ গোটা দেশে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। তার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযোগ তোলেন, কংগ্রেস রামমন্দিরের শিলান্যাসের দিন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে রামমন্দিরের অপমান এবং সংখ্যালঘু তোষণ করছে। বুধবার আবার প্রধানমন্ত্রী নিজে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘কালো জাদু’ ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নিজে সংবিধানের মৌলিক কর্তব্যের কথা বলেন। সংবিধানের মৌলিক কর্তব্যের অন্যতম হল, বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি করা। প্রধানমন্ত্রী তার বদলে কালো জাদু, ঝাড়ফুঁক নিয়ে কথা বলছেন। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদে কালো জাদু, রামমন্দির টেনে আনার অর্থ হল, মোদী-শাহ নিজেরাই চাপে রয়েছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের যুক্তি, কংগ্রেসের দেশ জুড়ে প্রতিবাদ মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। প্রধানমন্ত্রী তাই একে ‘কালো জাদু’ তকমা দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন। এতে বিজেপি সরকারের অস্তিত্ব সঙ্কট ও ব্যর্থতাই প্রমাণিত হচ্ছে।
আজ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলেছেন, “প্রধামমন্ত্রী কি মূল্যবৃদ্ধি দেখতে পান না? বেকারত্ব তাঁর নজরে পড়ে না?” তাঁর বক্তব্য, “নিজের কুকীর্তি লুকোতে কালো জাদুর মতো অন্ধ বিশ্বাসের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমাকে ধুলোয় মেশানো ও দেশকে বিভ্রান্ত করা বন্ধ করুন। মানুষের সমস্যা নিয়ে প্রশ্নের জবাব আপনাকে দিতেই হবে।”