ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া’র অন্যতম শরিক ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে। জেএমএমের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্তত সাতটিতে লড়তে চেয়েছেন হেমন্ত।
ঝাড়খণ্ড প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর সোমবার জানিয়েছেন, আসন রফা নিয়ে রাজ্যস্তরে দু’দলের আলোচনা শুরু হয়েছে। খড়্গেকে সে বিষয়ে অবহিতও করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আগামী ১০ দিনের মধ্যেই আমরা আসন রফা চূড়ান্ত করে ফেলব।’’ জেএমএমের তরফে দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদকুমার পান্ডে ও সুপ্রিয় ভট্টাচার্য এবং ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী চম্পেই সোরেন ছিলেন বলে জানান তিনি।
‘ইন্ডিয়া’র শরিকদের সঙ্গে আসন রফার দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির কমিটি শীঘ্রই জেএমএম নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বলেও কংগ্রেস সূত্রের খবর। প্রাক্তন লোকসভা সাংসদ মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটিতে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র মোহন প্রকাশ রয়েছেন
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও ঝাড়খণ্ডে জোট করেছিল দু’দল। কংগ্রেস সাত এবং জেএমএম চারটি আসনে লড়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডির ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম) দুই এবং লালুপ্রসাদের আরজেডি একটিতে প্রার্থী দিয়েছিল। ভোটে কংগ্রেস এবং জেএমএম দু’দলই মাত্র একটি করে আসনে জেতে। অন্য দিকে বিজেপি ১১ এবং তাদের সহযোগী ‘অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন’ (আজসু) একটিতে জেতে। বাবুলাল কেয়ক বছর আগেই সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বেশি আসনে লড়তে চেয়ে কংগ্রেসের উপর হেমন্ত চাপ বাড়াতে চাইছেন বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।