কর্নাটক জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত কংগ্রেস। — ফাইল ছবি।
কর্নাটকের বুথ ফেরত সমীক্ষা যে ইঙ্গিতই দিক না কেন, কংগ্রেস এক প্রকার নিশ্চিত, দক্ষিণের রাজ্যে একক ভাবে সরকার গড়তে চলেছে তারাই। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার দাবি, মোদী এবং বিজেপি প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল সাম্প্রদায়িক বিভাজন ঘটিয়ে ভোটে বাজিমাত করতে। কিন্তু কর্নাটকের জাগরুক মানুষ সেই অপচেষ্টাকে আরব সাগরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন।
শনিবার কর্নাটক বিধানসভার ফলঘোষণা। তার আগেই আগাম জয় ঘোষণা করে দিল কংগ্রেস। মুখপাত্র সূরজেওয়ালার দাবি, কর্নাটকের মানুষ বিজেপি সরকারের দুর্নীতি দেখতে দেখতে ক্লান্ত। তাই কংগ্রেসেই ভরসা রেখেছেন তাঁরা। তাঁর আরও দাবি, পরিস্থিতি আঁচ করে আগেই হার মেনে নিয়েছে বিজেপি। আর তাই জেডিএসের সঙ্গে ভাগাভাগির কথা বলতে হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলকে’।
কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে সমর্থন করার জন্য আমি কর্নাটকের সাড়ে ৬ কোটি মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আগামিকাল ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কিন্তু বিজেপি তো আগেই নিজেদের হার মেনে নিয়েছে দেখছি!’’
সূরজেওয়ালাকে প্রশ্ন করা হয়, ২০১৮ সালে ফলপ্রকাশের পর কংগ্রেস যেমন জোট বেঁধেছিল জেডিএসের সঙ্গে, তেমন পরিস্থিতি কি এ বারও তৈরি হতে পারে? তেমন হলে কংগ্রেসের কৌশল কী হবে? সূরজেওয়ালার সপাট জবাব, ‘‘যে যেখানে খুশি যেতে পারেন। আমি নিশ্চিত, কংগ্রেস একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে চলেছে। আর কাউকে লাগবে না।’’
কর্নাটকের বুথ ফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছে, কঠিন লড়াই দেখতে চলেছে দক্ষিণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য। বেশির ভাগ সমীক্ষায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতির। যেখানে ‘কিংমেকার’-এর ভূমিকা পালন করতে পারে কুমারস্বামীর জেডিএস। এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পরেই জল মাপতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন দেবগৌড়া-পুত্র। তিনি জানান, জেডিএস যে কোনও দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে রাজি। তবে তাঁর দেওয়া শর্তে রাজি থাকতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে জেডিএস নেতার মন্তব্যকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না কংগ্রেস। পাল্টা সূরজেওয়ালার দাবি, ৫ সংকল্পের নীতি নিয়ে কংগ্রেস রাজ্যের মানুষের কাছে গিয়েছিল। প্রগতিশীলতার স্বার্থে কর্নাটকের মানুষ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে কংগ্রেসের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।