প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ইটালিতে জি-৭ সম্মেলনে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, লোকসভা ভোটে তাঁর ‘ঐতিহাসিক জয়’ আসলে ‘গণতন্ত্রের জয়’ ও ‘গোটা গণতান্ত্রিক দুনিয়ার জয়’। আজ কংগ্রেস প্রশ্ন তুলল, নরেন্দ্র মোদী তো নিজের নামে ভোট চেয়ে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা চেয়েছিলেন। নিজেকে ঈশ্বর-প্রেরিত বলেছিলেন। এ বারের লোকসভা ভোটের ফল তাঁর রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত ও নৈতিক পরাজয়। এখন কেন তিনি একে গণতান্ত্রিক দুনিয়ার জয় বলে তুলে ধরছেন?
শনিবার জি-৭ সম্মেলন সেরে প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতে ফিরেছেন। তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম বিদেশ সফর। এত কাল মোদী বিদেশ সফর থেকে ফেরার সময় বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা সদলবলে পালাম বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে যেতেন। সেখানে ছোটখাটো সভা হত। মোদী বক্তৃতা করতেন। এ বার সে সবের আয়োজন ছিল না। কংগ্রেসের কটাক্ষ, বিজেপি সভাপতি মোদীকে অভ্যর্থনা জানাতে গেলেন না কেন? কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ি বলেন, ‘‘কেউ ফুলের মালা নিয়ে অভ্যর্থনা
জানাতে গেলেন না। অবস্থা ভাল নয় মনে হচ্ছে।’’
কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘‘গোটা নির্বাচনের প্রচারে মোদী বিদ্বেষমূলক প্রচার করলেন। মিথ্যে, মানহানি, তথ্য বিকৃত করলেন। মানুষের মনে আতঙ্ক, বিদ্বেষ তৈরির চেষ্টা করলেন। প্রধানমন্ত্রীর পদের অমর্যাদা করলেন। এখন বিদেশ গিয়ে একে গণতান্ত্রিক দুনিয়ার জয় বলছেন। উনি আর কত বেপরোয়া ও নির্লজ্জ হবেন?”
এনডিএ ফের সরকার গড়লেও বিজেপি একার জোরে লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার গড়ার জনাদেশ পাননি। সংখ্যালঘু সরকার চলছে। যে কোনও সময় সরকার পড়ে যেতে পারে। পাল্টা জবাবে বিজেপি বলেছে, সেই হিসেবে ২০০৪ ও ২০০৯-এ কংগ্রেসের সরকারও সংখ্যালঘু সরকার ছিল। কারণ, কংগ্রেস একার জোরে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বলেই রাষ্ট্রপতি সরকার গড়তে ডেকেছেন। জয়রামের মন্তব্য, ‘‘কিন্তু মোদী তো নিজের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতা চেয়েছিলেন। দেশের মানুষ তাঁর হাতে ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয় তুলে দিয়েছে।’’