—প্রতীকী চিত্র।
বিজেপির আইটি সেলের তিন পদাধিকারীর বিরুদ্ধে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি চত্বরে আইআইটি-র ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল দু’মাস আগে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও ধরা না পড়ায় ৩ অভিযুক্তই মধ্যপ্রদেশে বিজেপির হয়ে ভোটের প্রচারেও চলে যায়। দু’মাস পরে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে এই ঘটনার পরে কংগ্রেস বিজেপিকে ‘বলাৎকারী জনতা পার্টি’ বলে তকমা দিল। কংগ্রেসের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, নারী-শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি নীরব কেন?
আজ মহিলা কংগ্রেসের জাতীয় সভানেত্রী নেত্তা ডি’সুজা সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন, কুণাল পাণ্ডে, আনন্দ ওরফে অভিষেক চৌহান ও সক্ষম পটেল—এই তিন জনেই বিজেপির আইটি সেলের বারাণসী শাখার পদাধিকারী। তিন অভিযুক্তের সঙ্গে মোদী, যোগী ও ইরানির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ছবি দেখিয়ে নেত্তা প্রশ্ন করেন, কেন এর পরেও তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন? নেত্তার অভিযোগ, তিন অভিযুক্ত কতখানি প্রভাবশালী, তা বোঝাই যাচ্ছে। ঘটনা ও পুলিশের এফআইআর-এর পরে পুলিশের দু’মাস লেগে গিয়েছে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে। এর মধ্যে তিন জন মধ্যপ্রদেশে গিয়ে ভোটের প্রচার করেছে। এর মধ্যে তারা তথ্যপ্রমাণও নষ্ট করে ফেলেছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বিজেপির আইটি সেলের তিন জন আগে এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত ছিল। তিন জন ঘটনার দিন রাতে মদ্যপান করছিল। সেই সময় বিএইচইউ ক্যাম্পাসের মধ্যে এক ছাত্রীর যৌন হেনস্থা করে। পরের দিন থেকে প্রতিবাদ শুরু হলে তারা মধ্যপ্রদেশে পালিয়ে যায়। পুলিশ দিন চারেকের মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে ফেলেছিল। নির্যাতিতা ছাত্রী তার পরে অভিযুক্তদের শণাক্ত করে ফেলে। তার পরেও পুলিশের দু’মাস লেগে গিয়েছে গ্রেফতার করতে। অথচ তিন জনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ছিল। গত সপ্তাহে তারা উত্তরপ্রদেশে বিজেপি আইটি সেলের দুই প্রধানের সঙ্গে বৈঠকেও হাজির ছিল।
রবিবার রাতে বারাণসীর নিম্ন আদালত অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। কেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের পুলিশ অভিযুক্তদের হেফাজতে চাইল না, সেই প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির প্রভাবশালী নেতা বলেই যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত তিন জনকে হেফাজতে চায়নি পুলিশ।
অভিযোগের জবাবে বিজেপির দাবি, আইন নিজের পথে চলছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হবে।