(বাঁ দিক থেকে) রাহুল গান্ধী, অরবিন্দ কেজরীওয়াল এবং জয়রাম রমেশ। — ফাইল চিত্র।
দিল্লি এবং হরিয়ানার আসন্ন বিধানসভা ভোটে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টির সঙ্গে কোনও আসন সমঝোতার পথে হাঁটবে না কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে আপের সঙ্গে রাজ্যভিত্তিক সমঝোতা হয়েছিল। দিল্লিতে আমরা একসঙ্গে লড়েছিলাম। হরিয়ানায় আপকে একটি আসন ছেড়েছিলাম। আবার পঞ্জাবে আলাদা লড়াই হয়েছিল। আমি মনে করি না, দিল্লি এবং হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’র দলগুলির সমঝোতা হবে।’’
কেজরীর দলের তরফে ইতিমধ্যেই হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে ‘একলা চলো’র বার্তা এসেছে বলেও জানিয়েছেন রমেশ। লোকসভা ভোটের পরেই ‘ইন্ডিয়া’র অন্দরে কংগ্রেস এবং আপের সম্পর্কের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বৃহস্পতিবার দুই রাজ্যে আলাদা লড়ার ঘোষণা করে কংগ্রেসের তরফে এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের অক্টোবরে হরিয়ানায় বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। আগামী বছরের ফেব্রয়ারিতে।
এ বারের লোকসভা ভোটে বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় সমঝোতা করেছিল কংগ্রেস এবং আপ। সে রাজ্যের ১০টি আসনের মধ্যে একটি কেজরীকে ছেড়ে ন’টিতে লড়েছিল রাহুল গান্ধী-মল্লিকার্জুন খড়্গের দল। তার মধ্যে পাঁচটিতে জিতেছেন ‘হাত’ প্রতীকের প্রার্থীরা। বাকি পাঁচটি গিয়েছে ‘পদ্মে’র ঝুলিতে। ২০১৯ সালে ১০টি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। আপের সঙ্গে সমঝোতায় ভাল ফল করেও কেন ফের একলা লড়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূলের মতোই হরিয়ানায় কংগ্রেস-আপ সমীকরণও আদতে ‘ব্যস্তানুপাতিক’। অর্থাৎ, আপের বাড়বৃদ্ধি হবে কংগ্রেসের ক্ষতিবৃদ্ধি হলে। আবার একই রকম ভাবে কংগ্রেসের উন্নতি হবে আপের অবনতিতে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ‘আপ’ শাসিত দিল্লির সাতটি আসনের সবগুলি আসনই জিতেছিল বিজেপি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তার মধ্যে পাঁচটি আসনেই কংগ্রেস দ্বিতীয় স্থানে ছিল। যদিও ২০২০ সালে দিল্লির বিধানসভায় বেশির ভাগ আসনে জিতে কেজরীওয়াল ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। গত বছর দিল্লির পুরসভাও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে আপ। এই পরিস্থিতিতে আপ এবং কংগ্রেসের জোট হলে দেশের রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করেছিলেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। এ বার সমঝোতা করে আপ চারটি এবং কংগ্রেস তিনটি আসনে লড়লেও সবগুলিতেই জিতেছে বিজেপি।