প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক মুকেশ শর্মার পায়ের তলায় রেলমন্ত্রীর নেমপ্লেট। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের প্রতিবাদ। ছবি: পি টি আই।
পায়ের নীচে মন্ত্রীর নামের ফলক। যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে ঘর জুড়ে। তছনছ চারিদিক। মঙ্গলবার সংসদে রেল বাজেট পেশ করার পরে ঠিক এ ভাবেই রেলমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। বাজেট পেশের ঠিক পরেই রেলমন্ত্রীর বাড়িতে চড়াও হন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। বাজেটের বিরোধিতায় গৌড়ার বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি গেট থেকে তাঁর নেমপ্লেট উপড়ে পায়ে মাড়ানোর অভিযোগও ওঠে। মন্ত্রী বাড়ি ফেরার সময়ে সদর দরজা দিয়ে গাড়ি ঢুকতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। নিরাপত্তারক্ষীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি সংঘর্ষে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে দিনের শেষে এফআইআর করা হয়েছে প্রায় ৬০ কংগ্রেস নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
রেল বাজেট নিয়ে ভোপালেও শুরু হয় কংগ্রেস সমর্থকদের বিক্ষোভ। মঙ্গলবার। ছবি: পি টি আই।
এ বারের রেল বাজেটেই পিপিপি মডেলের পাশাপাশি প্রথম এল প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব। এ নিয়েই বিরোধিতা কংগ্রেসের। তাঁদের মতে এ বাজেট শুধুই বড়লোকদের মুখ চেয়ে। কংগ্রেসের এই তাণ্ডবলীলাকে ‘অপরিণত বিরোধিতা’ বলে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা অরবিন্দর সিংহ লাভলিও। তিনি বলেন, “বিরোধিতা করতেই হবে। কিন্তু সেটা শান্তিপূর্ণ হওয়াই কাম্য।” ঘটনার পরে অবশ্য দিল্লি পুলিশ যাঁদের নামে এফ আইআর করেছে, তাঁদের মধ্যে অরবিন্দরও আছেন।
এফআইআরে অভিযুক্তের তালিকায় আছেন দিল্লি কংগ্রেস শাখার প্রধান মুখপাত্র মুকেশ শর্মা-সহ আরও অনেকে। শর্মার নেতৃত্বেই বেলা তিনটে নাগাদ মন্ত্রীর বাড়িতে চড়াও হন বিরোধীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুকেশই মন্ত্রীর নেমপ্লেটের উপর দাঁড়িয়ে বিরোধিতার সীমা লঙ্ঘন করেন। অবশ্য পরে শর্মা দাবি করেন, তিনি নেমপ্লেট উপড়ে ফেলে মাড়াননি। সেটি আগেই পড়ে গিয়েছিল। তিনি তার উপরে দাঁড়িয়েছিলেন মাত্র।
বিক্ষোভের নামে কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা এই আচরণ করে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে বলে মানছেন শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। গত কালও সংসদ ভবন ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা করেছিল কংগ্রেস।