কর্নাটকে জনসভায় মোদীর সঙ্গে বিষাক্ত সাপের তুলনা খড়্গের, পরে ক্ষমাপ্রার্থনা। — ফাইল ছবি।
কর্নাটকে ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, পাল্লা দিয়ে চড়ছে উত্তাপ। সেই উত্তাপের আঁচেই তেতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কালবুর্গিতে একটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পরে অবশ্য চাপের মুখে ক্ষমা চাইতে হয় খড়্গেকে। নিজের বক্তব্যকে একটু ঘুরিয়ে খড়্গে জানান, মোদী নয়, আসলে বিজেপিই বিষাক্ত সাপের মতো। চেটে দিলেই মৃত্যু অবধারিত!
কালবুর্গির জনসভায় দাঁড়িয়ে খড়্গে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী হলেন বিষাক্ত সাপের মতো। আপনি হয়তো ভাববেন, এই সাপে কি বিষ আছে না নেই। কিন্তু তা করতে গিয়ে যদি একবারও সাপটি চেটে ফেলে, মৃত্যু অবধারিত।’’
খড়্গের এই মন্তব্য নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি। খড়্গের ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি করা হয়। গেরুয়া শিবিরের একের পর এক নেতা কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে থাকেন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই বলেন, ‘‘খড়্গের মাথাতেই বিষ ভরা আছে। এটা আসলে কংগ্রেসের কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন, যাঁরা বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী মোদীকে সহ্য করতে পারেন না। রাজনৈতিক ভাবে মোদীর সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরে এই সব বলছেন। আসলে খড়্গেরা বুঝতে পারছেন, কংগ্রেস নামের জাহাজ ডুবতে বসেছে। তাই এত মরিয়া।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘খড়্গে যা বলেছেন তা সনিয়া গান্ধীর ‘মওত কি সওদাগর’ মন্তব্যের চেয়েও নিম্নমানের।’’
চাপের মুখে ক্ষমাপ্রার্থনার রাস্তায় হাঁটেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, ‘‘যদি আমার করা মন্তব্যে কেউ আহত হয়ে থাকেন, তাহলে আমি তাঁর কাছে বিশেষ ভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আমাদের মধ্যে মতাদর্শগত ফারাক রয়েছে। আরএসএস-বিজেপির মতাদর্শ হল বিষাক্ত। আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে কিছুই বলিনি। কেবল বলেছিলাম, ওদের মতাদর্শ বিষের সমতুল।’’
আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। বিজেপি এ বারও দক্ষিণের রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া। তেমনই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতায় ভর করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস।