মনোনয়ন জমা দিলেন শশী তারুর। ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরবেন না তিনি। শুক্রবার এ কথা জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খড়্গের উদ্দেশে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মল্লিকার্জুনজি কংগ্রেসের ভীষ্ম পিতামহ। তাঁর মনোনয়ন পেশকে স্বাগত জানাই। দলের স্বার্থেই একাধিক প্রার্থীর প্রয়োজন। আমি কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে আসব না, কারণ আমি কর্মীদের নিরুৎসাহিত করব না।’’
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য শুক্রবারই মনোনয়ন পেশ করেন মল্লিকার্জুন। তিনিই গান্ধী পরিবার অনুমোদিত প্রার্থী হতে চলেছেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের পর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা শুক্রবার ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ দিনে দিগ্বিজয় জানান, তিনি খড়্গেকেই সমর্থন করবেন।
এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুনের সঙ্গে ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর সদস্য শশী তারুরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। তার আগেই গান্ধী পরিবারের পছন্দের প্রার্থী ছাড়া বাকিরা (অর্থাৎ তারুর) সরে দাঁড়াতে পারেন।
কংগ্রেসে ‘বিক্ষুব্ধদের গোষ্ঠী’ হিসাবে পরিচিত জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতা মণীশ তিওয়ারি, ভূপিন্দর সিংহ হুডা, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণরা বৃহস্পতিবার দিল্লিতে আনন্দ শর্মার বাড়িতে বৈঠক করেন। আনন্দ ওই বৈঠকের পরে দিল্লির জোধপুর হাউসে গহলৌতের সঙ্গে দেখা করতে যান। সূত্রের খবর, জি-২৩-র এক জন নেতা নির্বাচনে লড়তে পারেন। তিনি তারুর কি না, তা-ও স্পষ্ট হতে পারে শুক্রবারেই।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র অগস্টে কংগ্রেসের অন্দরে ‘সুনেতৃত্বের অভাব এবং সাংগঠনিক সমস্যা’ তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ২৩ জন নবীন এবং প্রবীণ নেতা। দাবি তুলেছিলেন, দলে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচনের। পাশাপাশি, ‘হাইকমান্ডের’ কর্মপদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। দলের অন্দরে সেই ‘বিদ্রোহী ২৩’ (গ্রুপ-২৩ বা জি-২৩ নামে যাঁরা পরিচিত)– এর মধ্যেই রয়েছেন তারুর। গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বল, জিতিন প্রসাদের মতো জি-২৩-এর নেতাদের কয়েক জন ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়েছেন।