দিগ্বিজয় সিংহ, মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং শশী তারুর। ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য শুক্রবার মনোনয়ন পেশ করলেন মল্লিকার্জুন খড়্গে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মল্লিকার্জুনই গান্ধী পরিবার অনুমোদিত প্রার্থী হতে চলেছেন বলে দলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের পর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা শুক্রবার ঘোষণা করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ দিনে দিগ্বিজয় বলেন, ‘‘মল্লিকার্জুন খড়্গে সভাপতি ভোটে লড়বেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। আমার সমর্থন তাঁর দিকেই থাকবে।’’
দিগ্বিজয়ের এই ঘোষণার ফলে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুনের সঙ্গে ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর সদস্য শশী তারুরের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। তার আগেই গান্ধী পরিবারের পছন্দের প্রার্থী ছাড়া বাকিরা সরে দাঁড়াতে পারেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সভাপতি পদে লড়ার জন্য মনোনয়ন তুলেছিলেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ দিগ্বিজয়। জল্পনা ছিল, শুক্রবার তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন।
গহলৌত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পরে সভাপতি পদে না লড়ার কথা জানিয়েছিলেন। তার পরেই কংগ্রেসের অন্দরে গান্ধী পরিবারের সমর্থিত প্রার্থীর নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সনিয়া ঘনিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পবনকুমার বনশলও মনোনয়ন তুলেছিলেন। তবে সে সময়ই তিনি বলেন, ‘‘আমি ভোটে লড়ব না। যিনি ভোটে লড়বেন, তাঁর নামের প্রস্তাবক হিসেবে আমি মনোনয়ন তুলেছি।’’ এআইসিসির একটি সূত্র জানাচ্ছে, বনশলের তোলা সেই মনোনয়নই পেশ করেছেন মল্লিকার্জুন।
কংগ্রেসে ‘বিক্ষুব্ধদের গোষ্ঠী’ হিসাবে পরিচিত জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতা মণীশ তিওয়ারি, ভূপিন্দর সিংহ হুডা, পৃথ্বীরাজ চহ্বাণরা বৃহস্পতিবার দিল্লিতে আনন্দ শর্মার বাড়িতে বৈঠক করেন। আনন্দ ওই বৈঠকের পরে দিল্লির জোধপুর হাউসে গহলৌতের সঙ্গে দেখা করতে যান। সূত্রের খবর, জি-২৩-র এক জন নেতা নির্বাচনে লড়তে পারেন। তিনি তারুর কি না, তা-ও স্পষ্ট হতে পারে শুক্রবারেই।