নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
কৃষকদের দুর্দশা নিয়ে সরব হয়েছেন রাহুল গাঁধী। সেই প্রচারের মোকাবিলায় এ বার কংগ্রেস তথা গাঁধী পরিবারকে পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পঞ্জাবের মালৌতে কৃষকদের সভায় মোদীর অভিযোগ, স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস দেশের চাষিদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেই দেখেছে, বেইমানি করেছে তাদের সঙ্গে।
সম্প্রতি খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। লোকসভা এবং বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে একে সামনে রেখে ভাবমূর্তি উদ্ধারে নেমেছেন মোদী। সেই উদ্দেশেই আজ পঞ্জাবে চাষিদের নিয়ে জনসভা করেছিল বিজেপি ও শিরোমণি অকালি দল। পাশের রাজ্য হরিয়ানা ও রাজস্থানের চাষিরাও পৌঁছেছিলেন সেখানে। একে চাষিদের ‘কুম্ভ মেলা’ আখ্যা দিয়ে মোদী নিশানা করেন গাঁধী পরিবারকে। অভিযোগ করেন, অনেক পরিশ্রমের পরেও কৃষকদের দুর্দশা না মেটার পিছনে রয়েছে এত দিনের কংগ্রেস সরকারের নীতি। মোদীর কথায়, ‘‘কংগ্রেসের চিন্তা শুধু একটি বিষয়কে নিয়েই, একটা পরিবারকে কী ভাবে ভাল রাখা যাবে, সেটাই ভেবে চলেছে ওঁরা।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, চাষিদের দুর্দশা কাটাতে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিল সব থেকে বেশি। কিন্তু কৃষকরা সেই দায়িত্ব এত দিন যাঁদের উপরে ছেড়ে দিয়েছিলেন, তারাই চাষিদের কঠিন পরিশ্রমকে সম্মান করেনি। তাঁদের শুধু মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, গত চার বছরে দেশে বিভিন্ন ফসলের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। ‘কিসান কল্যাণ জনসভা’-য় ১৪টি খরিফ শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা টেনে মোদী বলেন, ‘‘চাষিরা এখন সহজ ভাবে শ্বাস নিতে পারছেন।’’ তবে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ফসলের সহায়ক মূল্য বেড়ে যাওয়ায় রাতে ঘুম হচ্ছে না কংগ্রেসের। কারণ, ৬০ বছরে কংগ্রেস কিছুই করেনি। তাই এ সব নিয়ে এখন ওঁদের কেউ কথাই বলছেন না।’’
ফসলের গোড়া জ্বালানোয় পরিবেশ দূষণের দিকটিও তুলে ধরেন মোদী। তাঁর অনুরোধ, ফসলের গোড়া না পুড়িয়ে জমিতে রেখে দিতে। যাতে সার হিসেবে একে ব্যবহার করা যায়।