কার্তি চিদাম্বরম। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
ভিসা-দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত পি চিদাম্বরম-পুত্র কার্তি চিদাম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল সিবিআই আদালত। গত সপ্তাহে ওই মামলার শুনানিতে কার্তির পক্ষে-বিপক্ষে যাবতীয় যুক্তি শুনেছিল দিল্লির ওই আদালত। তারপর রায়দান স্থগিত ছিল। শুক্রবার কার্তির আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।
তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদ কার্তির বিরুদ্ধে সম্প্রতি মামলা রুজু করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির অভিযোগ, ২০১১ সালে পঞ্জাবে বেদান্ত গোষ্ঠীর একটি প্রকল্পে কাজের জন্য ২৬৩ জন চিনা নাগরিককে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ভিসা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন কার্তি। সে সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। অভিযোগ, বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করেই ওই দুর্নীতি করেছিলেন কার্তি। কার্তির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সহযোগী ভাস্কররামণের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে ওই আর্থিক লেনদেন হয়েছিল বলেও দাবি সিবিআইয়ের।
এই মামলায় ভাস্কররামণকে ১৭ মে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বেআইনি ভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগে মামলা করেছিল। এই মামলায় চিদম্বরমের বাড়ি-অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। গত মাসে কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদও করে সিবিআই। যদিও এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে কার্তির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন চিদাম্বরম।
এই মামলায় কোনও সারবত্তা নেই বলে আদালতে দাবি করেছেন কার্তির আইনজীবী কপিল সিব্বল। তাঁর প্রশ্ন, ২০১১ সালে ওই তথাকথিত লেনদেন হলেও এত দিন পরে কেন মামলা রুজু করল সিবিআই? সিব্বলের যুক্তি, সিবিআইয়ের কাছে ওই সংক্রান্ত লেনদেনের ইমেল থাকার দাবি করা হলেও কেন বছরের পর বছর এ নিয়ে তদন্ত করেনি তারা? তাঁর মতে, তথাকথিত লেনদেদের পরিমাণ এতই নগণ্য (৫০ লক্ষ টাকা) যে, কার্তির আগাম জামিন মঞ্জুর করা উচিত। যদিও আদালতে কার্তির আইনজীবীর এই যুক্তি খণ্ডন করে ইডি-র আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজুর পাল্টা দাবি, ‘‘কার্তির আগাম জামিনের আবেদনটি বলিষ্ঠ নয়। আমরা এখনও এই মামলার তদন্ত চালাচ্ছি। তা সত্ত্বেও ওঁরা গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন!’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।