রোজগার মেলা থেকে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাটআউটের সঙ্গে ছবি তুলছেন এক যুবক। ছবি: পিটিআই।
ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুবকদের কর্মসংস্থানকে অন্যতম প্রচারের হাতিয়ার করতে চাইছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই সূত্রে উঠে এল কেন্দ্রের রোজগার মেলা নিয়ে নতুন অভিযোগ। আজ ভিডিয়ো কনফারেন্স-এর মাধ্যমে ৫১ হাজার ১০৬ জন চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছেন মোদী। তথ্য ও নথি দিয়ে কংগ্রেসের বক্তব্য, যাঁদের চাকরিতে পদোন্নতি হয়েছে তাঁদের পদোন্নতির চিঠিও নিয়োগপত্র হিসেবে দেখিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার।
মূলত আধাসেনা, দিল্লি পুলিশ এবং নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোরবিভিন্ন পদে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয় আজ। কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের তরফে আয়োজিত কর্মসূচিতে ভিডিয়ো মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন রাজ্যে এই কর্মসূচিরপ্রচার হয়। স্বাধীনতার ‘অমৃত মহোৎসব’-এর আবহে নিয়োগপ্রাপ্তদের মোদী ‘অমৃত রক্ষক’ নামে সম্বোধন করেন। মে মাসে ‘রোজগার মেলা’র মাধ্যমে প্রায় ৭১ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন তিনি।
এর পরেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী বছরে দু’কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সর্বশেষ খবর এসেছে যে, চাকরি দেওয়ার তালিকায় তাঁদের নামও রয়েছে যাঁদের পদোন্নতি হয়েছে!” উদাহরণ হিসেবে তিনি তুলে ধরেছেন মোহালির ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’-এর দেওয়া তথ্য। যেখানে বলা হচ্ছে, এই বছর তাদের প্রতিষ্ঠানে ২১ জনের পদোন্নতি হয়। তাঁদেরও রোজগার মেলায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ জনকে রোজগার মেলায় চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৮ জনের চিঠি পদোন্নতির! খড়্গের কথায়, “দেশের যুবশক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি সামান্যতম মাথাব্যথাও প্রধানমন্ত্রীর থাকত, তা হলে তাঁদের আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নিজের জনসংযোগের খেলা খেলতেন না তিনি।”